Bengali SerialHoop Plus

সময়ের আগেই শেষ সব সিরিয়াল, বাংলাকে টাটা বলে এবার মুম্বইয়ের পথে জনপ্রিয় অভিনেত্রী!

সদ্য শেষ হয়েছে তাঁর সিরিয়াল ‘রূপসাগরে মনের মানুষ’। সান বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিকটিতে মুখ্য চরিত্রে ছিলেন অভিনেত্রী রুকমা রায় (Rooqma Roy)। পরপর দুটি প্রথম সারির চ্যানেলে অভিনয়ের পর সান বাংলার এই ধারাবাহিকে বিগত আট মাস ধরে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু চ্যানেল নির্বিশেষে রুকমার ভাগ্য রয়ে গেল একই রকম। তাঁর অভিনীত শেষ তিনটি সিরিয়ালই শেষ হয়ে গেল সময়ের আগেই। তবে অনুরাগীদের মন খারাপ পর্বের মাঝেই রুকমাকে নিয়ে শোনা গেল নয়া গুঞ্জন। বাংলা টেলিপাড়া ছেড়ে নাকি মুম্বইয়ের বাসিন্দা হতে চলেছেন তিনি।

গত বছর জুলাই মাসে পথচলা শুরু করে রূপসাগরে মনের মানুষ ধারাবাহিকটি। আট মাস চলতে না চলতেই শেষ করে দেওয়া হল সিরিয়ালটি। গত রবিবার শেষ শুটিং হয় এই সিরিয়ালের। মার্চ মাসের সঙ্গে সঙ্গেই সম্প্রচারও শেষ হয়ে যাবে ধারাবাহিকটির। স্লট পূরণ করবে অন্য নতুন সিরিয়াল। স্বাভাবিক ভাবেই বিমর্ষ রুকমা ভক্তরা। তবে এর মাঝে এমন একটি গুঞ্জন শোনা গিয়েছে যা শুনলে চমকে যাবেন সকলেই। শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই নাকি হিন্দি সিরিয়ালে ডেবিউ করতে চলেছেন রুকমা। একটি নামী চ্যানেলের সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। গুঞ্জন বলছে, খুব শীঘ্রই এই আসন্ন সিরিয়ালের প্রোমো দেখা যাবে।

কানাঘুষো সত্যি হলে খুব শীঘ্রই কলকাতার পাট চুকিয়ে মুম্বইয়ে পাড়ি দিতে চলেছেন রুকমা। এর আগে টেলিপাড়ার একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছে, বাংলা থেকে হিন্দি সিরিয়ালে অভিষেক করে সেখানেই থেকে যেতে। রুকমাও কি এবার সেই পথেই পা বাড়াচ্ছেন? গুঞ্জন তেমনি ইঙ্গিত দিলেও অভিনেত্রীর তরফে এখনো কোনো শিলমোহর পড়েনি।

প্রসঙ্গত, রুকমার অভিনয়ে পথচলা শুরু ‘কিরণমালা’ সিরিয়ালের হাত ধরে। রূপকথার গল্পে বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরে আরো কিছু সিরিয়ালে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে রুকমাকে আবারো জনপ্রিয়তা এনে দেয় ‘দেশের মাটি’তে মাম্পি চরিত্রটি। ওই সিরিয়ালটি শেষ হওয়ার পর ‘লালকুঠি’তে দেখা যায় রুকমাকে। মাঝে অবশ্য ‘নষ্টনীড়’ এবং ‘রক্তকরবী’ ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Rooqma Ray (@rayrooqma)

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই