অতি সুস্বাদু এঁচোড়ের ৩টি আমিষ রেসিপি শিখে নিন
ফুলকপি, বাঁধাকপির পরে বাজারে এবার সদ্য সদ্য উঠেছে এঁচোড়। এঁচোড় দিয়ে খুব সহজেই রান্না করে ফেলতে পারেন ৩ টি অসাধারণ আমিষ রেসিপি।
১) পোস্ত এঁচোড়-»
ছোট বাটির ১ বাটি টুকরো করা এঁচোড়
পেঁয়াজ কুচি ১ টা
পোস্ত বাটা ২ টেবিল চামচ
লঙ্কা বাটা ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ
সরষের তেল ১ কাপ
টকদই ১ টেবিল চামচ
নুন, মিষ্টি স্বাদ মত
প্রণালী: একটি পাত্রের মধ্যে সরষের তেল গরম করে তাতে কুচি করে কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে ভালো করে ভাজতে হবে। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, নুন, মিষ্টি স্বাদ মত দিয়ে দিতে হবে। এর মধ্যে কিছুটা সেদ্ধ করে রাখা এঁচোড় দিয়ে দিতে হবে। পোস্ত বাটা এবং টক দই দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে। সামান্য উষ্ণ গরম জল দিয়ে খানিকক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। ঢাকা খুলে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘পোস্ত এঁচোড়’।
২) এঁচোড় মেটে-»
উপকরণ:
ছোট বাটির এক বাটি এঁচোড় টুকরো করে কাটা
ছোট বাটির এক বাটি মেটে সেদ্ধ করে রাখা
পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ
গরম মশলার গুঁড়ো ১ চা চামচ
সরষের তেল এক কাপ
নুন, চিনি স্বাদমতো
প্রণালী: ফ্রাইং প্যানে সরষের তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ, আদা, রসুন দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে। ভালো করে ভাজা ভাজা হয়ে গেলে সমস্ত গরম মশলা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে কষানো হয়ে গেলে সেদ্ধ করে রাখা মেটে দিয়ে দিতে হবে এক্ষেত্রে মাটনের মেটে ব্যবহার করলেই বেশি সুস্বাদু হবে। এরপরে নুন, হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে রাখা এঁচোড়ের টুকরোগুলো দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। নুন, চিনি স্বাদমতো দিতে হবে। কষানো হয়ে গেলে সামান্য উষ্ণ গরম জল দিয়ে কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ পরে ঢাকা করে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘এঁচোড় মেটে’।
৩) চিলি এঁচোড়-»
উপকরণ:
ছোট বাটির এক বাটি সেদ্ধ করা এঁচোড়
একটা ক্যাপসিকাম টুকরো করে কাটা
একটা পেঁয়াজ টুকরো করে কাটা
রসুন কুচি করে কাটা এক টেবিল চামচ
টমেটো সস এক টেবিল চামচ
সয়া সস এক টেবিল চামচ
চিলি সস এক টেবিল চামচ
কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ
সাদা তেল ১ কাপ
নুন, চিনি স্বাদমতো
প্রণালী: কড়াইতে সাদা তেল গরম করে এঁচোড় গুলিকে নুন, হলুদ মাখিয়ে কর্নফ্লাওয়ারে ডুবিয়ে সামান্য ভেজে তুলে রাখতে হবে। ডুমো ডুমো করে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি করে কেটে রাখা রসুন এবং ক্যাপসিকাম দিয়ে দিতে হবে। তিন রকমের সস দিয়ে দিতে হবে। স্বাদমতো গোলমরিচ গুঁড়ো দিতে হবে। চিরে রাখা কাঁচালঙ্কা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। এরপর কর্নফ্লাওয়ারে ভেজে রাখা এঁচোড়ের টুকরোগুলো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে সামান্য উষ্ণ গরম জল দিয়ে দিতে হবে। এরপর আরেকটু জলের মধ্যে কর্নফ্লাওয়ার ভালো করে গুলে নিয়ে এই মিশ্রণটি রান্নার মধ্যে দিয়ে খুন্তি দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে। স্বাদমতো নুন, চিনি দিতে হবে। কিছুক্ষণ পরে বেশ মাখা মাখা হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘চিলি এঁচোড়’।