Lifestyle: এক মাসে মাথা থেকে উধাও হবে পাকা চুল, যৌবন ধরে রাখতে মেনে চলুন এই ঘরোয়া টিপস
বয়স বাড়লে আমাদের ত্বকের জেল্লা যেমন কমে যায়, তেমনই কমে যায় চুলের উজ্জ্বলতা। এখন তো অনেকেরই অনেক কম বয়সে চুল পাকার সমস্যা দেখা দেয়। তবে এক্ষেত্রে জেনে রাখা জরুরি যে কোলাজেন নামের এক প্রোটিনের কারণেই আমাদের যৌবনের নানা রূপরেখা তৈরী হয়। অর্থাৎ, এই প্রোটিনের ঘাটতি ঘটলেই শরীর থেকে উধাও হতে শুরু করে যৌবনের ছোঁয়া। আর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেনের পরিমান কমে আমাদের শরীরে। আর এমনটা হলে হীনমন্যতায় ভোগেন অনেকেই।
তবে চুলে পাক ধরার অনেক কারণ হয়ে থাকে। প্রথমত, জিনঘটিত কারণে চুল পেকে যায় অল্পবয়সেই। তবে এই সমস্যা হাতেগোনা কিসবু মানুষের ক্ষেত্রে হয়। কিন্তু এর অনেক কারণে কম বয়সে চুল সাদা হয়ে যায়। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হল আমাদের লাইফস্টাইল। আমাদের নানা খারাপ অভ্যাস থেকে এমনটা হলে পারে। একইসঙ্গে অতিরিক্ত মদ্যপান করলেও এই সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। তবে কিছু অভ্যাস বদল করলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে সহজে। জেনে নিন সেইসব উপায়।
● পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস: শরীরের বার্ধক্য রোধ করতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ভীষণভাবে জরুরি। এক্ষেত্রে যেমন প্রতিদিন খাবার প্লেটে ভিটামিন-সি-যুক্ত খাবার রাখা আবশ্যিক। এক্ষেত্রে কাঁচালঙ্কা, পাতিলেবু যেমন ভাত বা রুটির সঙ্গে খাওয়া যায়, তেমনই টমেটো ও কমলালেবু খেলেও উপকার হয়। এছাড়াও শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মাত্রা বজায় রাখতে শীতকালে পালং শাক খাওয়াটাও জরুরি। এতে শরীরে কোলাজেনের মাত্রা ঠিক থাকে। ফলস্বরূপ চুলের পাক ধরার সমস্যাও দূর হয়।
● নেশা থেকে দূরত্ব: মদ্যপান ও ধূমপানের মতো নেশা থাকলে কিন্তু শরীর থেকে কোলাজেন উধাও হয়ে যেতে থাকে। একইসঙ্গে চুলে পাক ধরতে পারে। তাই শরীরে যৌবন ধরে রাখতে এবং চুলকে কুচকুচে কালো রাখতে আগে নেশার থেকে দূরত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে সবার আগে ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস ছাড়তে হবে।
● বিশেষজ্ঞ লের পরামর্শ নেওয়া: অনেকের ক্ষেত্রেই জিনঘটিত কারণে চুল পেকে যায় কম বয়সে। তবে এমনটা হলে খাদ্যাভ্যাসে বদল আনলেও সমস্যা থেকে মুক্তি মেলেনা। কারণ এক্ষেত্রে জিনঘটিত সমস্যার সঠিক চিকিৎসা করানো জরুরি।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এইসব টোটকার সম্পূর্ন ফলাফল দাবি করে না Hoophaap।