Bengali SerialHoop Plus

Dadagiri: শাহরুখ খানকে সামনে পেয়ে কি কান্ড করেছিলেন ‘উড়ন তুবড়ি’-র নায়িকা! অজানা গল্প ফাঁস

আগামী ২৮ শে মার্চ থেকে জি বাংলার পর্দায় দেখা যাবে নতুন ধারাবাহিক উড়ন তুবড়ি। ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে সোহিনী ব্যানার্জি এবং স্বস্তিক ঘোষকে। লড়াকু তিন বোন এবং মায়ের চপ ভেজে সংসার চালানোর সংগ্রামের গল্প নিয়ে আসছে এই ধারাবাহিক।

গতকাল দাদাগিরিতে ধারাবাহিকটির প্রচারের জন্য আসেন উড়ন তুবড়ির অধিকাংশ কলাকুশলীরা। সোহিনী ব্যানার্জি, স্বস্তিক ঘোষ সুকন্যা বসু, ঋ, রিতা দত্ত চক্রবর্তী, অভিজিৎ গুহ প্রমুখ নামজাদা তারকাদের ভিড়ে দাদাগিরির মঞ্চ চাঁদের হাট হয়ে উঠেছিল।

সৌরভ গাঙ্গুলী তুবড়ি অর্থাৎ সোহিনীকে জিজ্ঞাসা করেন তাঁর প্রিয় নায়ক কে? সোহিনী নির্দ্বিধায় উত্তর দেন তাঁর প্রিয় নায়ক হলেন শাহরুখ খান। সোহিনীকে শাহরুখ খানের একজন অন্ধ ভক্ত বললে কিছু ভুল বলা হয় না।

দাদার সঙ্গে প্রথমবার শাহরুখ খানকে সামনাসামনি দেখার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন সোহিনী। তিনি বলেন,“আমার সঙ্গে শাহরুখ খানের দেখা হওয়াটা খুব খারাপভাবে হয়েছিল। চেন্নাই এক্সপ্রেস সিনেমার প্রোমোশনের জন্য ওনার কলকাতায় আসার কথা ছিল। আমি সকালবেলায় সেজেগুজে ওখানে গিয়ে হাজির হই যেন শাহরুখ খান শুধু আমাকেই দেখতে আসছে। যদিও জানতাম উনি সন্ধ্যেবেলা আসবেন তবু আমি সকাল থেকে গিয়ে ওখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম যাতে সামনের দিকে আমি থাকতে পারি। যাতে শাহরুখ খান যখন আসেন আমায় যেন দেখতে পায়। মাঝে মুষলধারে বৃষ্টি নামলো। চারিদিক কাদা কাদা হয়ে গেল। হঠাৎই ঘোষণা হল যে উনি এসে গেছেন এবং দু মিনিটের মধ্যে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। শুধু এইটুকুনি শুনেই আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম।”

সোহিনীর মুখে এই কথা শুনে দাদার চোখ ছানাবড়া হয়ে ওঠে। সোহিনী বলতে থাকে,“অজ্ঞান হয়ে গিয়ে আমি একেবারে কাদায় গিয়ে পড়ি। আমার সুন্দর মেকআপ সব কাদায় চাপা পড়ে গেল। যখন জ্ঞান ফেরে তখন দেখি একজন সিকিউরিটি শক্ত করে আমায় ধরে আছে। তিনি আমার ভেতরে যেতে বলেন কিন্তু আমি শাহরুখ খানকে দেখতে চাইছিলাম তাই ভিতরে যাইনি। তারপর সেই কাদা মাখা অবস্থায় নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে আমি শাহরুখ খানকে দেখতে পাই।”

অভিনয়ে আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,“ছোটবেলা থেকেই আমার এই পেশায় আসার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু তখন ভাবতাম এটা স্বপ্ন হিসেবেই থেকে যাবে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সাথে সাথেই আমি বিভিন্ন স্টুডিওতে গিয়ে পোর্টফলিও জমা দিতাম। এভাবেই একদিন আমার কপাল সাথ দিয়ে দেয় এবং এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার পথ চলা শুরু হয়।”

ধারাবাহিকটি প্রসঙ্গে সৌরভ গাঙ্গুলী সোহিনীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,“এটা তিন বোনের লড়াই-র গল্প। তিন বোন মায়ের সাথে দোকানগাড়ি সামলায় তাতে চপ,ফুলুরি ইত্যাদি পাওয়া যায়। তুবড়ি হচ্ছে বাড়ির ছেলের মতো। সিঙ্গারায় শেপ করা বা চপ ভাজা এইসব কাজে তুবড়ি থাকে না। তুবড়ি কে নয় গাড়ির শেডের উপরে দেখা যায় নয় জল বয়ে নিয়ে আসতে দেখা যায়। তুবড়ির পৃথিবী ওর মা। তুবড়ি অন্যায় একদম সহ্য করতে পারে না। যেখানে অন্যায় দেখবে সেখানেই প্রতিবাদ করবে। আমাদের বাবা আমাদের সাথে থাকেন না। অনেক ছোটবেলায় উনি আমাদের কে ছেড়ে সৎ মাকে বিয়ে করে নেন। তুবড়ির বাবার ওপর খুব বড় অভিমান জমে রয়েছে।”

Related Articles