Skin Care Tips: দুধের মতো ফর্সা হবে ত্বক, বাড়িতে বানিয়ে মেখে ফেলুন গোলাপ ফুলের ফেসপ্যাক
অতি প্রাচীনকাল থেকেই গোলাপ ফুল রূপচর্চার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আগেকার দিনের সেই রাজবংশের রানী মায়েরা কিন্তু গোলাপের জলে স্নান করতেন। গোলাপের পাপড়ি বাটা মুখে লাগিয়ে তারা অপরূপ সৌন্দর্য পেতেন। আপনিও কিন্তু এমন সৌন্দর্য পেতে পারেন, পুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। পুজোর আগে কোন বিউটি পার্লারে গিয়ে নামি দামি ফেসিয়াল নয়, আপনার ত্বক উজ্জ্বল হতে পারে গোলাপ ফুলের গুনে। তাই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় জলদি দেখে ফেলুন তিনটি গোলাপ ফুলের ফেসিয়াল।
১) গোলাপ ফুলের পাপড়ি বাটা, মধু, চালের গুঁড়ো, দুধের সর – সমস্ত উপকরণকে খুব ভালো করে মিশিয়ে ফেলুন। আর এই মিশ্রণটি আপনি প্রায় তিন দিন পর্যন্ত ডিপ ফ্রিজের মধ্যে স্টোর করে রাখতে পারেন। রোজ স্নানের আগে আধঘন্টা এই মিশ্রণটি মুখের মধ্যে খুব ভালো করে লাগিয়ে রেখে দিন। আর স্নান করার সময় ঠান্ডা জল দিয়ে ভালো করে ঘষে ঘষে তুলে দিন। পরপর এক সপ্তাহ যদি এটি করতে পারেন, দেখবেন আপনার ত্বকের জেল্লা ঠিক কতখানি বেড়ে গেছে।
২) গোলাপ জল, গোলাপ ফুলের পাপড়ি বাটা, টক দই, লেবুর রস, টমেটোর রস – প্রত্যেকটি উপকরণকে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এটি টাটকা টাটকা ব্যবহার করাই ভালো। সপ্তাহের প্রতিদিনই এটি ব্যবহার করা যাবে না। এর মধ্যে থাকা লেবুর রস আর টমেটোর রস, প্রতিদিন ব্যবহার না করাই ভালো। ত্বকের ওপরে যদি অতিরিক্ত কালো দাগ হয়ে থাকে, সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। পুজোর আগে যদি নিজেকে আরও বেশি সুন্দরী করে তুলতে চান। তাহলে সপ্তাহে তিন দিন অবশ্যই ব্যবহার করুন এই মিশ্রন।
৩) গোলাপ ফুলের পাপড়ি বাটা, আলুর রস, অ্যালোভেরা জেল – প্রতিটি উপকরণকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এটি যদি নিয়মিত আপনি আপনার মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে দেখবেন, আপনার ত্বক কত সুন্দর হয়ে গেছে। মূলত নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।