দেখতে দেখতে কাটতে চলল দু বছর। ২০২১এর ৯ ডিসেম্বর সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন ভিকি কৌশল (Vicky Kaushal) এবং ক্যাটরিনা কাইফ (Katrina Kaif)। চলতি বছরের ডিসেম্বরে দু বছর পূর্ণ হবে তাঁদের বিবাহিত জীবনের। কিন্তু তাঁদের সমসাময়িক জুটিরা যেখানে দুই থেকে তিন হয়ে গিয়েছেন ইতিমধ্যেই, সেখানে ক্যাটরিনার কোল এখনো খালি। বিয়ের পর দু বছর কাটতে চললেও এখনো কোনো সুখবর দিয়ে উঠতে পারেননি ‘ভিক্যাট’ জুটি। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে কানাকানি শুরু হয়ে গিয়েছে বলিপাড়ার অন্দরে। এমনকি এও শোনা যাচ্ছে, ভিকির পরিবারের তরফে নাকি চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে ক্যাটরিনার উপরে।
ইন্ডাস্ট্রিতে অভিজ্ঞতা এবং বয়সের দিক দিয়ে ভিকির থেকে এগিয়ে রয়েছেন ক্যাট। অনেক বছর আগেই হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে ভাষার বাধা কাটিয়ে একের পর এক ছবির প্রস্তাব পেয়েছেন। অভিনয় ততটা নিখুঁত না হলেও সৌন্দর্যের জেরে লাইমলাইট পেতে কোনো অসুবিধা হয়নি তাঁর। বলিউডের ‘বার্বি’ ক্যাটরিনা একাধিক সম্পর্কে জড়ানোর পর শেষমেষ প্রেমে পড়েন ভিকির। দীর্ঘদিন লুকিয়ে প্রেম করার পর বছর দুয়েক আগে রাজস্থানে রাজকীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাত জন্মের জন্য একে অপরের সঙ্গে থাকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন তাঁরা।
বিয়ের পর থেকে বেশ সুন্দর করেই সংসার গুছিয়েছেন ক্যাটরিনা। আপন করে নিয়েছেন ভিকির পরিবারকেও। কিন্তু সম্প্রতি গুঞ্জন তুঙ্গে উঠেছে যে এখনো পর্যন্ত সন্তানের মুখ দেখাতে না পারায় বউমার উপরে নাকি অপ্রসন্ন ভিকির বাবা মা। মা হওয়ার জন্য ক্যাটরিনার উপরে নাকি চাপ দিচ্ছেন তাঁরা। বলিউডের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে এমন জল্পনা। কিন্তু যা রটছে তা কি সত্যিই ঘটছে। নাকি সবটাই জল্পনা? উত্তর দিলেন ভিকি নিজেই।
বিয়ের পর থেকেই নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন ভিকি। পরপর বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তি পেয়েছে তাঁর। আগামীতেও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোজেক্ট হাতে রয়েছে অভিনেতার। এর মাঝেই এমন গুঞ্জন কানে পৌঁছেছে তাঁর। আর উত্তরটাও ভদ্র ভাবে সর্বসমক্ষে দিয়েছেন ভিকি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, তাঁর পরিবারের কেউই কোনো চাপ দেয় না ক্যাটরিনাকে। তাঁদের সম্পর্কটা রূপকথার মতো। একে অপরকে নিয়েই বিভোর হয়ে রয়েছেন তাঁরা। তাই এখনি পরিবার পরিকল্পনার ইচ্ছা তাঁদের নেই বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ভিকি। এই মুহূর্তে দুজনেই ব্যস্ত নিজের নিজের কাজে। তবে ভবিষ্যতে কখনো কোনো ছবিতে ভিক্যাট জুটিকে একসঙ্গে দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন অনুরাগীরা।