BollywoodHoop Plus

কঙ্গনাকে যা শর্ত দিয়েছিলেন হৃত্বিক রোশন

কয়েক বছর আগে আচমকাই কঙ্গনা রাণাওয়াত (Kangana Ranaut) ও হৃত্বিক রোশন (Hrithik Roshan)-এর মধ্যে শুরু হয়েছিল আইনি লড়াই। কঙ্গনার আইনজীবী অভিনেত্রীকে করা হৃত্বিকের একাধিক ই-মেল সকলের সামনে নিয়ে আসেন। এই ই-মেইলের সূত্র ধরেও চলে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি। হৃত্বিক সাংবাদিক সম্মেলন করলেও তা অব্যাহত ছিল। দীর্ঘদিন অবধি তাঁদের সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলেছেন কঙ্গনা ও হৃত্বিক। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কি ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছিল, তা ব্যাখ্যা করতে পারেননি তাঁদের অনুরাগীরা। পরবর্তীকালে ‘আপ কি আদালত’-এ এসে কঙ্গনা এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন।

‘আপ কি আদালত’-এ কঙ্গনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, হৃত্বিকের সাথে সত্যিই তাঁর সম্পর্ক ছিল কিনা! কঙ্গনা দৃঢ় ভাবেই উত্তর দিয়েছিলেন, তাঁর সাথে হৃত্বিকের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একসময় কঙ্গনা বুঝতে পারছিলেন, হৃত্বিক এই সম্পর্কে থাকার জন্য আদৌ তৈরি ছিলেন না। তবে অভিনেত্রীর প্রতি হৃত্বিকের অনুভূতি ছিল। কঙ্গনাকে নিজের জীবনে ‘অ্যাড অন’ হিসাবে চেয়েছিলেন তিনি। সেই সময় হৃত্বিকের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। সুজান খান (Suzzane Khan) ছিলেন তাঁর স্ত্রী। হৃত্বিক কঙ্গনাকে বলেছিলেন, তিনি এমন একটি পরিবারের সন্তান যেখানে বিবাহ বিচ্ছেদ সম্ভব নয়। কিন্তু কঙ্গনা চাননি এই সম্পর্কে থাকতে। কারণ তাঁর মনে হয়েছিল, এই ভাবে দুই মহিলার একজনের সাথে সম্পর্কে থাকা উচিত নয়। ফলে কঙ্গনা সরে আসেন এই সম্পর্ক থেকে। কিন্তু এই ঘটনার কিছুদিন পর সুজানের সাথে হৃত্বিকের সেপারেশন হয়ে যায়।

অনেকে এই সেপারেশনের জন্য হৃত্বিককে দায়ী করেন। অনেকে মনে করেন, সেই সময় থেকেই সুজানের সাথে তৈরি হয়েছে আরসালান গোনি (Arsalan Goni)-র সম্পর্ক। পরবর্তীকালে হৃত্বিক ও সুজানের আইনত বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পরেও তাঁরা একসাথে সময় কাটিয়েছেন। হৃত্বিক অবশ্য দীর্ঘদিন সিঙ্গল ছিলেন। অপরদিকে কঙ্গনাও কোনো সম্পর্কে ছিলেন না। কিন্তু তাঁরা কেউই একে অপরের জীবনে ফিরে আসেননি।

এখনও অবধি কঙ্গনা সিঙ্গল থাকলেও হৃত্বিকের জীবনে এসেছেন সাবা আজাদ (Saba Azad)। তিনি বয়সে অভিনেতার তুলনায় অনেকটাই ছোট। এখনও তাঁদের বিয়ে না হলেও সাবাকে পরিবারের অংশ হিসাবে মেনে নিয়েছেন রোশন পরিবারের সদস্যরা।

Related Articles