সহবাসের সময় পর্ণ দেখলে হতে পারে চরম বিপদ, আগে থেকেই হন সাবধান
মিলনের সময় পর্ন দেখা উচিত কি উচিত না এই নিয়ে অনেক প্রশ্ন এসেছে, আজ এই টপিক প্রসঙ্গে আপনাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করব।
প্রথম কথা হল আমাদের দেশে সেক্স এডুকেশনের ভীষণ অভাব। পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে যে সেক্স এডুকেশন সম্ভব নয় তা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা বারবার বুঝিয়ে দিয়েছে। এমনকি বাবা-মায়েরাও তাদের সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মেলামেশা করেন না, ফলে কৈশোরের সময় থেকেই পর্ন মুভিতে আকর্ষিত হয় ছেলেমেয়েরা। এবং এই আকর্ষণ মাদকের নেশার মতন কাজ করে।
কিছুতেই এই নেশা কাটতে চায় না। এমনও অনেকে আছেন যারা হস্তমৈথুনের সাহায্য নেন, যদিও ব্যাপারটি কিছু স্বাভাবিক হলেও বেশিরভাগ দিক থেকে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ব্যাপারটি শারীরিকভাবে নয়, যারা নিয়মিত হস্তমৈথুনের সাহায্য নেন তারা মূলত ব্যক্তিগত জীবনে হয় নিঃসঙ্গ হন অথবা সঙ্গীহীন হয়ে থাকতে চান।
যদি আপনার প্রেম করে বিয়ে হয় তবে তার সঙ্গে আপনি বসে পর্ন ভিডিও দেখতে পারেন, তবে অবশ্যই আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার সম্মতি থাকতে হবে এক্ষেত্রে। এবং প্রয়োজনীয় নিরোধ হাতের সামনে রাখতে হবে। তবে এটা অভ্যাস করা কিন্তু আপনার প্রেমের সম্পর্কের জন্য ভালো নয়। আপনি যদি নিয়মিত পর্ন ভিডিও দেখে থাকেন আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে তবে তা কুঅভ্যাসে পরিণত হবে। এবং এর ফল মারাত্মক হতে পারে। আপনাদের মধ্যে বিশ্বাস নামক বস্তুটি উঠে যেতে পারে এবং সন্দেহ ও তিক্ততা দানা বাঁধতে পারে।
যারা সম্বন্ধ করে বিয়ে করেছেন বা করতে চলেছেন তাদের ক্ষেত্রে বলা বাঞ্ছনীয় আপনি যদি আপনার স্ত্রী অথবা স্বামীর সঙ্গে পর্ন ভিডিও দেখতে চান তবে তার সঙ্গে আগে থেকে কথা বলে রাখুন, যদি আপনার স্ত্রীর অথবা স্বামীর অনুমতি পেয়ে যান তবে কেল্লাফতে। দেখে নিন। তবে এই দেখাটা একদমই মজার ছলে নিতে হবে আপনাদের। যদি আপনি সেই চরিত্রগুলোকে আপনার স্ত্রীর মধ্যে অথবা স্বামীর মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে চান তবে কিন্তু দূরত্ব বাড়বে। আপনাদের মধ্যে তিক্ততা বাড়বে এবং সহবাসে তৃপ্তি পাবেন না।
সহবাস চলাকালীন আপনি যদি পর্ন ভিডিও দেখেন তবে আপনি নিজেকে কখনোই প্রমাণ করতে পারবেন না যে আপনি কতটা ভালো পারফর্ম করতে পারেন। অন্যেরটা অনুকরণ করার থেকে বরং নিজেকে প্রমাণ করাই হলো কিন্তু বিজয়ীর লক্ষণ।