Government Scheme: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বিপুল সাফল্য, এবার এই প্রকল্পেও ১০০০ টাকা দেবে সরকার, হল বড় ঘোষণা
রাজ্য সরকারের যে সমস্ত জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প রয়েছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে সরাসরি আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন উপভোক্তারা। এমনি একটি সরকারি প্রকল্প হল বার্ধক্য ভাতা। নামেই স্পষ্ট যে মূলত বয়স্ক মানুষদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্যই এই প্রকল্পের অবতারণা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জয়জয়কার দেখে অন্যান্য সরকারি প্রকল্পগুলির উপরেও জোর দিতে শুরু করেছে সরকার। আর এবার বার্ধক্য ভাতা নিয়ে এল বড় ঘোষণা।
বার্ধক্য ভাতার সুবিধাভোগী
মূলত ৬০ এবং তার বেশি বয়সের মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পেয়ে থাকেন। বয়স্ক কাজে অক্ষম মানুষদের আর্থিক জোর বজায় রাখতে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। ৬০ বছর বয়স হলে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৫৫ বছর বয়সেও এই ভাতার জন্য আবেদন করা যায়। যাদের শারীরিক অক্ষমতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ৫৫ বছর বা তার বেশি।
বার্ধক্য ভাতার টাকার পরিমাণ
এই প্রকল্পে মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে ১০০০ টাকা পেয়ে থাকেন। বার্ধক্য ভাতার অন্তর্গত উপভোক্তারা ৬০ থেকে ৮০ বছর বয়সীরা ২০০ টাকা পায় কেন্দ্রের থেকে। ৮০ বছরের বেশি বয়সীরা কেন্দ্রের থেকে পায় ৩০০ টাকা। তবে রাজ্য সরকারের তরফে ২০২১ সালেই বার্ধক্য ভাতার অর্থ পরিমাণ বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ বাকি প্রায় ৬০০-৭০০ টাকা দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে।
বার্ধক্য ভাতা নিয়ে ঘোষণা
জানা যাচ্ছে, এবার আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে বার্ধক্য ভাতার আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। বর্তমানে রাজ্যের প্রায় ২০ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষ বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু মোট বরাদ্দ প্রায় ২০ লক্ষ ৬৫ হাজার মানুষ। রাজ্য সরকারের তরফে একাধিক বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে প্রাপ্য টাকা না দেওয়ার। সেই টাকা না পাওয়াতেই বাকি মানুষরা ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে দাবি রাজ্যের। তবে এবার এই ৫০,০০০ উপভোক্তাকেও টাকা দিতে চলেছে সরকার। ইতিমধ্যেই নাকি সরকারি ভাবে পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার আরো ৫০,০০০ মানুষের কাছেও মাসের শুরুতে এই ভাতার টাকা পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।