Tourism: নদী-জঙ্গল-পাহাড়ের মিশেলে মনোরম এই স্থানে ঘুরে এলে মন ভালো হতে বাধ্য
ঠান্ডা পড়েছে কি পড়েনি বাঙালি মন ব্যাগ গুছিয়ে রওনা দেয় পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। দার্জিলিং, সিকিম, কার্শিয়াং৷, কালিম্পং মোটামুটি যদি ঘুরে বেড়ানো হয়ে থাকে, তাহলে তার কালিম্পং এর কাছেই একটি অফবিট জায়গা ঘুরে আসতে পারেন, হয়তো অনেকেই দেখে এসেছেন যারা দেখে আসেননি তাদের জন্য রইল আজকের এই অসাধারণ ঠিকানা। যা আপনি খুব সহজেই কালিংপং থেকে যেতে পারবেন।
ঋষি খোলার কাছাকাছি বিমানবন্দর বাগডোগরা। বাগডোগরা থেকে খুব সহজেই আপনি পৌঁছতে পারবেন এছাড়া ট্রেনে করে এনজিপি স্টেশন এসে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে পারেন ঋষিখোলাতে। ভাড়া পড়বে মোটামুটি চার হাজার টাকা সময় লাগবে ৪ ঘন্টার মত এছাড়া শেয়ার গাড়ি করেও আপনি কালিংপং আসতে পারেন, কালিম্পং থেকে ঋষি খোলা যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া করতে পারেন।
থাকার জন্য রয়েছে প্রচুর হোমস্টে, রিসোর্ট। এছাড়াও আপনি ঋষি নদীর ধারে পেয়ে যাবেন হোমস্টে, তাই আপনি যদি একটু এডভেঞ্চার ভালোবাসেন আর যদি চান রাত্রেবেলা শুয়ে নদীর কুলকুল আওয়াজ পেতে, তাহলে কিন্তু এই হোমস্টে আপনার জন্য একেবারে উপযুক্ত।
ঋষি খোলাতে গিয়ে কি কি করতে পারেন –
প্রথম কথা তো যারা একাকীত্ব ভালোবাসেন বা কংক্রিটের জঙ্গল থেকে আসবেন তাদের জায়গাটিতে এমনি ঘুরে বেড়াতেই ভীষণ ভালো লাগবে, এছাড়া নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকতেও পারবেন ঘন্টার পর ঘন্টা। তবে অবশ্যই ক্যামেরাবন্দি করতে ভুলবেন না, এই সুখের স্মৃতিগুলো। নদীর গভীরতা খুব বেশি নেই তাও নদীতে যদি স্নান করতে ইচ্ছা করে নেবে পড়বেন স্নান করতে। যদি ট্রেকিং করতে ইচ্ছা করে তারা মাঝেমধ্যে ট্রেকিং করেও নিতে পারেন, পাহাড়ের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ট্রেকিং করতে মন্দ লাগবে না।
ঘুরে আসতে পারেন আশেপাশের জায়গা গুলি –
ঋষি খোলা থেকে পেদং খুব কাছে। এই পেদং গ্রাম একসময় সিল্ক রুটের মূল কেন্দ্র ছিল, এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ। তাই ঋষিখোলা থেকে এটি দেখে আসতে ভুলবেন না, কিন্তু আর এখানে রয়েছে একটি বুদ্ধ মনাস্ট্রি, এখানেও ঘুরে আসতে পারেন।
কালিম্পং এর আরেকটি অফবিট জায়গা সিলারিগাঁও, এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন একটি গাড়ি ভাড়া করে।
পাশেই দেখে নিতে পারেন ইচ্ছেগাঁও, এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা বেশ সুন্দরভাবে দেখা যায়।
ঋষিখোলা থেকে আরেকটি অত্যন্ত কাছের এবং অসাধারণ জায়গা হল পূর্ব সিকিমের বহু পুরনো লামপোখরি।