Govt Scheme: আবেদন করলেই মিলছে ২৫ হাজার টাকা! রাজ্য সরকারের এই স্কিমটি সম্পর্কে জানা আছে তো?
মহিলাদের স্বাবলম্বী ও অর্থনৈতিকভাবে উন্নীত করার লক্ষ্যে এর আগে একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। শুধুমাত্র মহিলা কেন্দ্রিক অনেক প্রকল্প বাস্তবেও রূপায়িত হয়েছে বিগত সময়ে। এমনকি রাজ্যের একাধিক প্রকল্প ইতিমধ্যে বন্দিত হয়েছে জাতীয় এমনকি আন্তর্জাতিক মঞ্চেও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে ইউনেস্কো অবধি। এছাড়াও রাজ্যের ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘খাদ্যসাথী’, ‘সবুজসাথী’, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পগুলিও বেশ প্রশংসা পেয়েছে বিগত সময়।
তবে রাজ্যে এখনো ও এক এমন মানুষ রয়েছেন যারা দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করেন। তাদের কাছে দিন এনে দিন খাবারের জোগাড় করাটাই একপ্রকার চ্যালেঞ্জের মতো। এবার তাদের বাড়িতে কোনো বিবাহযোগ্য মেয়ে থাকলে তো সেইসব মানুষের টেনশন শুরু হয়। কারণ মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। আর মেয়ের বিয়ে দেওয়া তো আর মুখের কথা নয়। কারণ বিয়েবাড়ির আয়োজন করতেই খরচ করতে হয় মোটা টাকা। তবে সেইসব মানুষের চিন্তা দূর করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারএর একটি জনমুখী প্রকল্প রয়েছে, যার মাধ্যমে বিয়ের আগে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। কি সেই প্রকল্প? দেখে নিন।
দরিদ্র মানুষদের বাড়ির মেয়েদের বিয়ের খরচে কিছুটা সাহায্য করার জন্য ২০১৮ সালের ২৮ শে মার্চ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের সূচনা করেছিল। ১৮ বছরের বেশি বয়সী অবিবাহিতা মহিলা, যারা পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা, তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এছাড়াও আবেদিনকারীর পারিবারিক বার্ষিক আয় দেড় লক্ষ টাকার মধ্যে হতে হবে। পাশাপাশি আবেদনকারী মখিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, জন্মের শংসাপত্র, পাসপোর্ট সাইজ ফটো, প্রস্তাবিত বিয়ের প্রমাণপত্র, পাত্রের বয়সের প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
এবার দেখে নেওয়া যাক যে কোথায় কিভাবে আবেদন করা যায় এই প্রকল্পের জন্য। এই প্রকল্পের জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করা যায়। এছাড়াও এই প্রকল্পের নির্দিষ্ট ফরম রয়েছে, যেটি সঠিকভাবে পূরণ করে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের অফিস বা পৌর অফিসে জমা দিতে হবে। এই ফরম ওই অফিস থেকেই মিলবে। এরপর নির্দিষ্ট অফিসার সেইসব ডকুমেন্ট ও আবেদনপত্র যাচাই করে সেটিকে এপ্রুভ করবেন। আর সবটা কমপ্লিট হলে তবেই এককালীন ২৫ হাজার টাকা পাবেন মেয়েরা।