সহজেই ওজন কমাতে সাহায্য করবে এই বিশেষ পদ্ধতি
অনেকেই হয়তো শুনে অবাক হবেন কিন্তু কুড়ি রকমের জটিল রোগের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন এই গম গাছ থেকে। প্রতিদিন নিয়মিত গম গাছ সেবন করতে পারলে ত্বক, চুলের সমস্ত সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এর মধ্যে উপযুক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং প্রয়োজনীয় এঞ্জাইম, অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। যারা ডায়েট কন্ট্রোল করতে চাইছেন তারা অবশ্যই এটি খান। এছাড়াও যারা গ্যাস, অম্বল, বদহজমে ভুগছেন তারা এটি নিয়মিত খেতে পারেন।
সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে গমের গাছ। দাঁতের সমস্ত সমস্যার সমাধান করবে এটি। বয়স রুখতে সাহায্য করে এটি। গায়ে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে গমের গাছ। শরীরকে পুরোপুরি টক্সিনমুক্ত করে দেয়। এত উপকার যখন একটি গাছ থেকে পাবেন তখন বাড়িতেই চাষ করে নিন এটি।
গম আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর জন্য চ্যাপ্টা আকৃতির পাতলা পাত্র বেছে নিন। প্লাস্টিকের ট্রেও বেছে নিতে পারেন। তবে নিচের দিকে দুটো তিনটে ফুটো করে নিন। বাগানের মাটি, কোকোপিট, বালি এবং জৈব সার দিয়ে সুন্দর করে তৈরি করে নিন এর জন্য উপযুক্ত মাটি। ভিজিয়ে রাখা গম গুলোকে ছড়িয়ে দিন। উপরে মাটি দিয়ে হালকা করে চাপা দিয়ে দিন। জল ছিটিয়ে ছিটিয়ে দিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন গোড়ায় যেন কোনভাবেই না জল জমে থাকে।
১০ দিন অন্তর অন্তর সরষের খোল পচা তরল সার দিতে পারেন। তবে এই গাছের ক্ষেত্রে তেমন সার দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ৭ দিনের মাথায় খুব সুন্দর গমের গাছ বড় হয়ে যায়। যদি নিয়মিত এই গাছ এর রস সেবন করেন তাহলে অন্তত পাঁচ ছ’টা জায়গায় করে ফেলুন। মাথা এক সঙ্গে ধরে কেটে নিয়ে মিক্সিতে জুস বানিয়ে লেবুর রসের সঙ্গে পান করে ফেলুন। প্রতিদিন সকালবেলা বাসিমুখে এটি খেতে পারলে শরীর সুস্থ থাকবে।