whatsapp channel

কনের সাজে এই মহিলা আজ বাংলা সিরিয়ালের অন্যতম জনপ্রিয় লেখিকা, চিনতে পারছেন ইনি কে!

সন্ধ্যার সময় চার দেওয়ালে পরিবারের প্রায় সবাইকে এক সঙ্গে জব্দ করতে কিন্তু একজনই পারে। সেটি হচ্ছে টেলিভিশন। কিন্তু, শুধু টেলিভিশন থাকলেই তো চলবে না, তাতে থাকতে হবে বিভিন্ন স্বাদের গল্প।…

Avatar

Advertisements
Advertisements

সন্ধ্যার সময় চার দেওয়ালে পরিবারের প্রায় সবাইকে এক সঙ্গে জব্দ করতে কিন্তু একজনই পারে। সেটি হচ্ছে টেলিভিশন। কিন্তু, শুধু টেলিভিশন থাকলেই তো চলবে না, তাতে থাকতে হবে বিভিন্ন স্বাদের গল্প। বর্তমানে, সেই গল্পের নাম হল লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Gangopadhyay)। নাহ্, এটা কোনো ধারাবাহিকের নাম নয়, বরং ইনি হলেন সাম্প্রতিককালের অন্যতম প্রথিতযশা লেখিকা, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক। তার কাহিনী প্রতিটা ঘরে ঘরে মানুষদের একত্র করে রাখে। সন্ধ্যে থেকে রাত পর্যন্ত যেই যেই গল্প তিনি উপহার দেন দর্শকদের তাতে করে সারাদিনের পরিশ্রমের পর তাদেরও মেলে একটু মনোরঞ্জন।

Advertisements

গোটা ব্যাংক তার লেখনীর গুণমুগ্ধ। তার লেখনীতে যেমন থেকে প্রেম, তেমন থাকে মান অভিমান, দুঃখ, রাগ, চূড়ান্ত ক্লাইম্যাক্স ইত্যাদি ইত্যাদি। বাস্তবের সঙ্গে কল্পনার অপূর্ব মিশ্রণ তিনি করতে পারেন। সেই জন্যেই হয়তো লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের চাহিদা প্রায় আকাশছোঁয়া।

Advertisements

একটা সময় সিরিয়াল দেখতে একদম পছন্দ করতেন না। শুধু মাত্র খবর দেখতেন। একটা সময় রেডিওতে সম্প্রচারিত গল্প দাদুর আসর। সেই আসরে তিনি লেখা পাঠাতেন। এছাড়া, টুকটাক লেখালেখি করতেন সঙ্গে পড়াশুনো। কমলা গার্লস স্কুল থেকে সিস্টার নিবেদিতা স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। এরপর একদিন “সোনার হরিণ” ধারাবাহিকএর স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ের জন্য লেখিকা লীনার সঙ্গে যোগাযোগ করে এক প্রযোজনা সংস্থা। ব্যাস, সেই শুরু। প্রথমে এক মাসের শ্যুটিং এর জন্য স্ক্রিপ্ট তৈরি করেন, তাতেই হিট। পরবর্তীতে গোটা ধারাবাহিকের স্ক্রিপ্ট লেখেন।

Advertisements

Advertisements

এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাননি তিনি। নিজেই নিজের প্রযোজনা সংস্থা খুলে ফেলেন। তৈরি হয় ম্যাজিক মোমেন্টস! ব্যাস, এর পর তিনি দিয়েছেন একের পর এক হিট ধারাবাহিক, যেমন – “কেয়া পাতার নৌকো”, “ইষ্টিকুটুম”, “জল নুপুর”, “পুন্যি পুকুর”, “বিন্নি ধানের খই”, “নকশি কাঁথা”, “ফাগুন বউ”, “শ্রীময়ী”, “মোহর”, “খড়কুটো”, “ধুলোকণা”। প্রায় এক বছর আগে, লীনা গঙ্গোপাধ্যায় তার নিজের একটি পুরোনো ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেখানে তাকে দেখা গিয়েছে বিয়ের সাজে। তাহলে কি সে দিনটি ছিল তার বিবাহবার্ষিকী? নাহ্, লেখিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ সক্রিয় নন, এবং ব্যাক্তিগত জীবন নিয়েও খোলামেলা নন। তাই তার ব্যাক্তিগত বিষয়ে বেশি আলোকপাত সম্ভব নয়। তবে, লেখিকাকে কনের সাজে দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অনুরাগীরা।

whatsapp logo
Advertisements