“প্রসেনজিৎ, অনুপম, যিশু-অনির্বাণ’রাও কি শুয়ে কাজ পান?” বিস্ফোরক প্রশ্ন স্বস্তিকার
অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির ভিতরকার গুপ্ত রহস্য একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। আগে ঘটে যাওয়া কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাকে ভিত্তি করে বোমা ফাটাচ্ছেন তারকারা। নেপোটিজমের ধ্বজা ভেঙে বিস্ফোরক মন্তব্য করছেন ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে আসা সেলেবরা। সেই একই সুর সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল শ্রীলেখা মিত্রের কথায়। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে এসে শ্রীলেখা সরাসরি প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা, অশোক ধানুকা, সৃজিত মুখার্জী সহ একাধিক নামিদামি অভিনেতা ও প্রযোজকের দিকে তির্যক মন্তব্যের তীর ছুঁড়ে দেন।
প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে স্টুডিওপাড়ায় সেভাবে কাজ না পাওয়ার প্রসঙ্গে শ্রীলেখা বলেন, “প্রথমদিকে আমি নায়িকার কোনো চরিত্র পাইনি। তখন ইন্ডাস্ট্রিতে এক নম্বরে ছিলেন বুম্বাদা অর্থাৎ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তখন বোনের চরিত্র করেছি। যদিও আমি জানতাম আমি নায়িকা হওয়ার যোগ্য। কিন্তু সেই সময় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রেম। ঋতু দেরি করে শ্যুটিংফ্লোরে আসতো। সবাই ওর জন্য অপেক্ষা করতো। কিন্তু তাও ওকেই নেওয়া হতো পরের ছবিতে।”
শ্রীলেখার এই মন্তব্যে একেবারেই সহমত পোষণ করেন না টলিপাড়ার আরেক বলিষ্ঠ অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। লাইভ চলাকালীন সৃজিতের সঙ্গে স্বস্তিকার প্রেম নিয়েও মন্তব্য করেন শ্রীলেখা। সৃজিতের সঙ্গে প্রেম ছিল বলেই সিনেমায় কাজ পেয়েছে স্বস্তিকা এমনটাই সরাসরি বলেছেন শ্রীলেখা। এমত অবস্থায় স্বস্তিকাও চুপ থাকতে নারাজ, তাই নাম না করেই শ্রীলেখার দিকে প্রশ্নবাণ ছুঁড়েই দিলেন অভিনেত্রী।
আজ সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ একটি পোস্টে স্বস্তিকা লিখলেন, “যখন কোনো অভিনেত্রী কোনো পরিচালকের সঙ্গে এক বা একের বেশি ছবি করে তখন বলা হয় সে শুয়ে বা প্রেম করে কাজটা পেয়েছে। বেশ। তা আমি এক পরিচালকের ( সৃজিত মুখার্জী) সঙ্গে তার জীবনের ১৭ টা ছবির মধ্যে আড়াই খানা ছবি করেছি( দুটি মুখ্য চরিত্র, একটা অতিথি শিল্পী)। কিন্তু যেহেতু এই পরিচালকের সঙ্গে সৌমিক হালদার ১১টা, অনুপম রায় ৯টা, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ৭টা, যীশু সেনগুপ্ত ৭টা, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ৬টা, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ৬টা কাজ করেছেন, তারা নিশ্চয়ই আরো বেশি করে শুয়ে আর প্রেম করে কাজগুলো পেয়েছেন? এনারা তাহলে সবাই উভকামী ও সুযোগসন্ধানী? যুক্তি তো সবার ক্ষেত্রেই এক হওয়া উচিত, তাই না? নাকি নিজের খামতি ঢাকতে স্লাটশেমিং শুধু আমাদের মত ‘কুযোগ্য’ অভিনেত্রীদের করা হবে যারা একেবারেই অভিনয়টা পারেনা?” আপাতত একে অপরের দিকে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি নিয়েই সরগরম সিনেদুনিয়া। বিতর্কের মাঝেই কি নতুন কোনো বিপ্লব ঘটবে ভারতীয় সিনেমায়? ঘটবে কোনো রদবদল? সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা