Lifestyle: জিভের রং দেখেই শরীরে এই প্রাণঘাতী রোগের লক্ষণ বুঝে ফেলা সম্ভব
দিনের পর দিন কমছে মানুষের গড় জীবনকাল। নানা রোগ বাসা বাঁধছে অল্প বয়সেই। বিগত প্রজন্মের সঙ্গে তুলনার গ্রাফ আঁকলে কিছু বিষয় স্পষ্ট হয়- আগে যে রোগ বেশি বয়সে হত, এখন তা কম বয়সেই দেখা দিচ্ছে, অনেক নতুন শারীরিক সমস্যায় ভুগছে নতুন প্রজন্ম, দৃষ্টিশক্তি হারানোর অনুপাত বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনের পর দিন। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। কেউ বলেন দূষণের কারণেই বাড়ছে রোগভোগের সমস্যা। আবার অনেকেই খাদ্যাভ্যাসকেও দায়ী করেন। আর এসবের মাঝেই শরীরে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনেক কারণে শরীরে অনিয়মিত মাত্রায় বৃদ্ধি পায় কোলেস্টেরল। এর ফলে স্ট্রোক ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই চোখে পড়ে। কিন্তু আপনি কোলেস্টেরল বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছেন কিনা, তা বুঝবেন কিভাবে? এক্ষেত্রে একাধিক বাহ্যিক লক্ষ্মণ দেখে এটি বোঝা সম্ভব। অনেকের মতে শরীরে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেলে হাত ও পা ফুলে যায়। আবার অনেকে মুখমণ্ডল ফুলে যাওয়ার ঘটনাকেও এই রোগের লক্ষণ হিসেবে ধরেন। তবে আরো একটি সহজ উপায়ে বোঝা সম্ভব যে এই প্রাণঘাতী সমস্যা আপনার শরীরে বাসা বাঁধছে কিনা।
অনেকের মতে, জিভের রং বলে দিতে পারে যে শরীরে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা। একটি বিদেশি গবেষণা পত্রে দাবি করা হয়েছে যে জিভের ডগার রং পরিবর্তন হলে বুঝতে হবে যে শরীরে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে কোলেস্টেরল। এক্ষেত্রে জিভের ডগা বেগুনি বা নীলাভ হতে পারে। মূলত জিভে রক্ত জমাট বেঁধে এটি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। জীবের কোষে রক্তের স্বতঃস্ফূর্ত প্রবাহ না ঘটলে এমনটা ঘটতে পারে। এছাড়াও শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলেও এমনটা হয়।
তবে জিভের এই রং পরিবর্তন শুধুমাত্র শরীরে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি হতে পারেনা। অনেক কারণেই এটি ঘটতে পারে। জিভে সংক্রমণ অথবা আঘাত থেকে এমনটা হতে পারে। এছাড়াও ভিটামিনের ঘাটতির ফলে ঘটতে পারে এই রং বদল। এই লক্ষণ ক্যানসারের কারণেও দেখা দিতে পারে।
Disclaimer: শরীরে এমন লক্ষণ দেখলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।