Lifestyle: ৪০ বছর বয়সেও থাকবে ফুটন্ত যৌবন! দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান এই একটি উপাদান
প্রাচীন শাস্ত্র অনুযায়ী দুধ (Milk) হল ‘সুষম খাদ্য’। অর্থাৎ দুধের মধ্যে রয়েছে এমন বেশ কিছু উপাদান, যেগুলি আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট। তাই অনেকেই এখনো সকালে হোক কিংবা রাতে, এক গ্লাস দুধ পান করেই থাকেন। কিন্তু জানেন কি দুধের সঙ্গে চিনি নয়, এক চামচ মধু (Honey) মিশিয়ে খেলে এর পুষ্টিগুণ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়! দুধ যেমন ‘সুষম খাদ্য’, অন্যদিকে মধুকেও আমাদের ভারতের প্রাচীন শাস্ত্রে ‘জীবন সুধা’ বলেই বর্ণনা করা হয়। আর এই দুইয়ের মিশ্রণ যে শরীরে কতটা উপকারী হয়, তাও বলা হয়েছে শাস্ত্রে। তবে শুধুই শাস্ত্র নয়, একথা শিকার করেছে পুষ্টিবিজ্ঞানও। একনজরে দেখে নিন দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়।
(১) হাড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি: ক্যালসিয়াম (Calcium) হল দুধের একটি অনন্য উপাদান। এই ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে এবং হাড়কে ভঙ্গুর হওয়া থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও দুধে থাকা পটাশিয়াম হাড় মজবুত করে। দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে হাড়ের গঠন ও শক্তি বৃদ্ধি হয়। মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
(২) চোখের যত্ন: মধুর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিফাংগাল যে কোনও ধরনের সংক্রমণ সারাতে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও দুধে ভিটামিন ডি, এ, ল্যাকটিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম থাকায় দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
(৩) টেনশন রোধ এবং ঘুমের বৃদ্ধি: ঈষদুষ্ণ গরম দুধ আর মধু একসঙ্গে খেলে তা স্নায়ুর উপর প্রভাব ফেলে। ফলে পেশির ক্লান্তি দূর হয়। মানসিক চাপ কমে। হজম ভালো হয়। ফলে ঘুমও ভালো হয়।
(৪) কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ: দুধে উৎসেচক থাকায় সহজেই হজম হয়৷ রাত্রিবেলায় শুতে যাওয়ার আগে দুধ পান করলে শরীর অত্যন্ত সুস্থ থাকে৷ পাচনতন্ত্র মজবুত হয়৷ দুধ পান করলে কোষ্ঠ কাঠিন্য, হজম শক্তি বাড়ে৷ অ্যাসিডিটির প্রবণতা থাকলে তাও সহজেই দূর হয়৷
(৫) বার্ধক্য রোধ: দুধ ও মধুর মধ্যে থাকা একাধিক উপাদান শরীরে তারুণ্য ধরে রাখে। ফলে এই মিশ্রণ পান করলে বার্ধক্যও থাকে দূরে। আগে মিশরীয় ও গ্রীকরা দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতেন। যার ফলস্বরূপ তাদের তারুণ্য অনেক বেশি বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হত।
ডিসক্লেমার: উপরোক্ত বিষয়গুলি আসলে ঘরোয়া টোটকা, ওষুধপত্র বা চিকিৎসার বিকল্প বা পরিপূরক নয় ৷ ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ৷