নব্বইয়ের দশক যেন ছিল মায়াময়। ছিল বৈশাখে আঠারোটি কালবৈশাখী। বাইরে দুপুরের ঝলসানো রোদ, কিন্তু ঘরের মেঝেয় শীতলপাটি। মে মাসেই পড়ত গরমের ছুটি। গরমের ছুটি পড়ার আগে অবধি স্কুলের সামনে বসা আচারওয়ালার কাছ থেকে আচার কিনে খাওয়ার রোমাঞ্চ ছিল আলাদা। সেই সময় এক টাকা পেলেই ছোটরা মনে করত, লাখপতি হয়ে গিয়েছে। পঞ্চাশ পয়সার হজমিগুলি নিয়ে চলত কাড়াকাড়ি। নুসরত জাহান (Nusrat Jahan Ruhi)-ও নব্বইয়ের দশকের সন্তান। বর্তমানে তিনি অভিনেত্রী-সাংসদ। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে বহু বিতর্ক। ট্রোলড হওয়া নুসরতের কাছে দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। কিন্তু এমনও একটা সময় ছিল যখন তিনিও আর পাঁচজন নাইন্টিজ কিড-এর মতোই ছিলেন।
তখন হয়তো তিনিও জানতেন না, একদিন এত বিতর্ক হবে তাঁকে ঘিরে। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া বলে কোনো কিছুর নাম ছিল নাইন্টিজ কিড-দের অজানা। টাইম মেশিন না থাকুক, গ্রীষ্মের দুপুরে নুসরত আরও একবার ফিরে গেলেন নিজের মেয়েবেলায়। ফলে অনুরাগীদের সাথে ভিডিও শেয়ার করে নেওয়ার লোভ সামলাতে পারলেন না তিনি। তবে আচার নয়, নুসরতের পছন্দ আলুকাবলি ও তেঁতুলের আচার। শৈশব থেকেই এক পরিচিত দাদুর কাছে আলুকাবলি খেতেন নুসরত। সপ্তাহান্তে মুহূর্ত যাপনের জন্য আরও একবার তাঁর কাছেই ফিরলেন বর্তমানের অন্যতম বিতর্কিত অভিনেত্রী-সাংসদ।
ভিডিওতে নুসরতকে দেখে মনেই হচ্ছিল না, বর্তমানে তিনি একজন সেলিব্রিটি। বহুদিন পর দাদুকে দেখে উচ্ছ্বসিত তিনি। দাদুও খুশি তাঁর চেনা মেয়েটিকে দেখে। যত্ন করে আলুকাবলি মেখে কাগজের পাতায় নুসরতের হাতে তুলে দিলেন তিনি। আলুকাবলি খেয়ে খুব খুশি নুসরত তেঁতুলের আচার ও টোপা কুলের আচার কাগজের ঠোঙায় প্যাক করে সাথে নিলেন বাড়ি গিয়ে খাওয়ার জন্য। ভিডিও শেয়ার করে নুসরত লিখেছেন, এক লহমার জন্য মেয়েবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। কখনও সখনও ছোট ছোট জিনিস জীবনের আনন্দের কারণ হয়ে ওঠে।
আগামী দিনে নুসরতকে দেখা যাবে সাসপেন্স থ্রিলার ফিল্ম ‘শিকার’-এ। এই ফিল্মে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করছেন যশ দাশগুপ্ত (Yash Dasgupta)।
View this post on Instagram