Adhaar Biometric Lock: আধার বায়োমেট্রিক লক থাকলে কি রেশন তোলা যাবে না!
প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের কাছে আধার কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটিকে অত্যাবশ্যকীয় নথি বললেও ভুল হবে না। কারণ নানা কাজে ব্যবহার করা হয় আধার কার্ড। তাই ভারতীয় নাগরিকদের কাছে আধার কার্ডের গুরুত্বও বাড়ছে দিন দিন। কারণ সরকারের তরফে অধিকাংশ জায়গায় পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ডকেই মান্যতা দেওয়া হয়। ব্যাঙ্কের একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে, সিম কার্ড কেনা, গাড়ি কেনা এমনকি হোটেলে রুম নিতেও আধার কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। এছাড়াও ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন করতেও এই নথির গুরুত্ব অপরিসীম।
আর এই আধার কার্ডের সঙ্গে প্রত্যেকটি নাগরিকের বায়োমেট্রিক তথ্য জুড়ে রয়েছে। হাতের আঙুলের ছাপ রেকর্ড রয়েছে আধার কার্ডের সঙ্গে। আর এই বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চুরির ঘটনা এখন প্রায়শই শোনা যাচ্ছে। দেশজুড়ে এমন অসাধু ঘটনা ঘটে চলেছে। কয়েকদিন আগেই যাদবপুরের এক মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়েছে। এছাড়াও বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান- প্রায় সব জেলাতেই ঘটেছে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা। তার থেকে বাঁচাতেই বিশেষজ্ঞরা আধার বায়োমেট্রিক লক করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
এবার অনেকের মনে এই প্রশ্ন উঠছে যে আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক লক করা থাকলে কি রেশন তুলতে কোনো সমস্যা হবে। যদি এমন প্রশ্ন আপনার মনেও এসে থাকে, তাহলে আপনার জেনে রাখা উচিত যে এমনটা কিন্তু নয়। অর্থাৎ আধারের বায়োমেট্রিক লক থাকলেও রেশন তুলতে কোনরূপ অসুবিধা হবেনা। যেহেতু আগের থেকে রেশন দোকানে আধার বায়োমেট্রিক রেকর্ড হয়ে আছে, তাই এক্ষেত্রে কোনরূপ সমস্যা তৈরি হবেনা বলেই জানা গেছে।
এবার এটা থেকে আরেকটা প্রশ্ন এখানে উঠতে পারে যে আধার বায়োমেট্রিক তথ্য কি রেশন দোকান থেকে চুরি যেতে পারে। যেহেতু রেশন ডিলারদের কাছে প্রতিটি গ্রাহকের আধার বায়োমেট্রিক তথ্য রেকর্ডেড থাকে, তাই এমন সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যায়না। এক্ষেত্রে খাদ্য দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মতানুসারে, কোনো ডিলার যদি এমন প্রতারণা করে থাকেন, তাহলে তা কিন্তু ধরা সম্ভব নয়।