Potato Price Hike: ভিলেন অকাল বৃষ্টি, চাষে ব্যাপক ক্ষতি, মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস তুলে বাড়ছে আলুর দাম
বৃষ্টি এখন বাংলার মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতকালেও পিছু ছাড়ছে না নিম্নচাপ। মাত্র কিছুদিন আগেই মিগজাউমের প্রভাবে গোটা বাংলা ভেসেছে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে। আর অকাল বর্ষণে কার্যত মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে কৃষিজীবী মানুষদের। নষ্ট হয়েছে ক্ষেতের ফসল। বাজারে দেখা দিতে চলেছে আকাল। এক ধাক্কায় আলুর দাম (Potato Price) অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কৃষকরা।
শীতকালে সাধারণত আলুর দাম কমে। নতুন আলু ওঠে এই সময়। খুচরো বাজারে চন্দ্রমুখী আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৭ টাকায় আর জ্যোতি আলু বিকোচ্ছে ২০-২২ টাকায়। তবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, এই দুই ধরণের আলুর দামই অন্তত ৬-৭ টাকা করে বাড়তে পারে। আসলে অগ্রহায়ণ মাসে অকাল নিম্নচাপের ভারী বৃষ্টির জেরে বিঘার পর বিঘা আলু চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষ্ণুপুর মহকুমার কোতুলপুর, পাত্রসায়র, জয়পুর এর মতো ব্লকগুলিতে বৃষ্টির জন্য আলু এবং ধান চাষে বড় সড় ক্ষতি হয়েছে। আলুর বীজ বপন করা জমি চলে গিয়েছে জলের তলায়।
উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি রয়েছে আরেক সমস্যা। হিমঘরে মজুত করা আলু এখনই বের করার পক্ষপাতী নন মজুতদাররা। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বাজারে বাড়বে চাহিদা। আর পর্যাপ্ত যোগান না থাকায় বাড়বে দাম। আগামী এক মাসের মধ্যে দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও আশঙ্কা করছে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আলু চাষে এত বড় ক্ষতি হওয়ার কারণ কী? কৃষকরা এর জন্য দুষছে আবহাওয়া দফতরকে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে সব জেলায়। তাই কৃষকরা আলুর বীজ বপন করেই রেখেছিলেন। কিন্তু পূর্বাভাস ভুল হয়ে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। উপরন্তু নিম্নচাপের ব্যাপারে কোনো মাইকিং বা ক্যাম্পেনও করা হয়নি বলে অভিযোগ।
আলুর চাষ নষ্ট হওয়ায় মাথায় বাজ পড়েছে কৃষক সহ মধ্যবিত্তেরও। কোনো শষ্য বীমা পাওয়া যাবে কিনা তা জানা নেই কৃষকদের। অনেকেই ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছিলেন। ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড়। ঋণ মেটানোর জন্য সরকারি সাহায্যের আর্জিও জানিয়েছেন কৃষকরা। এদিকে বাজারে আলুর দাম বাড়ায় হেঁশেলেও লেগেছে আগুন। সব রান্নাতেই কম বেশি আলুর দরকার হয়। অকাল বৃষ্টিতে সবজির দাম বাড়ছে। বেড়েছে ডিম, মুরগির দাম। এবার শীতেও সবকিছুর দাম এত বেড়ে গেল পেটে কী পড়বে তা ভেবেই কালঘাম ছুটছে সবার।