Income Tax: হাতে মাত্র ২ সপ্তাহ, এই কাজটি না করলেই দিতে হবে হাজার হাজার টাকার জরিমানা
আয়কর জমা দেওয়া প্রতিটি দেয়াহের দায়িত্বশীল নাগরিকের মৌলিক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তবে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে সবথেকে বেশি আয়কর ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। তবে এইসব একাধিক কারণে নাগরিকদের নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর। এর মাঝে আপনি যদি আপনার আয়কর রিটার্নে জাল ছাড় বা ছাড় দাবি করে থাকেন, তাহলে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। সম্প্রতি, আয়কর দফতরের তরফে বলা হয়েছে যে আয়কর বিভাগ বেতনভোগী শ্রেণীর করদাতাদের তাদের আইটিআর-এ দাবিকৃত ছাড় বা কর্তনের প্রমাণ চেয়ে নোটিশ পাঠাচ্ছে।
এদিকে এখন চলছে ডিসেম্বর মাস। ইংরেজি বছরের শেষ মাস এটি। এই মাস শেষে যেমন শেষ হয় ক্যালেন্ডারের বছর, তেমনই একইসঙ্গে শেষ হয় অর্থবর্ষও। অর্থাৎ এই মাসের পরেই আগামী নতুন বছরে নতুন অর্থবর্ষ শুরু হতে চলেছে। আর নতুন অর্থবর্ষ মানেই নতুনভাবে আয়কর দাখিল করার সময় আসন্ন। তবে এক্ষেত্রে ৩১ সে ডিসেম্বর দিনটি ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দিনটিতে আয়কর সংক্রান্ত একটি বিশেষ বিষয়ের ডেডলাইন রয়েছে। তাই এই দিনটি মিস করলেই কিন্তু গুনতে হতে পারে জরিমানা।
৩১ ডিসেম্বর তারিখটি শুধুমাত্র বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্যই দেওয়া হয়েছে। আয়কর আইনের 234-F ধারায় এই বিষয়টি উল্লিখিত রয়েছে। এই উপধারা অনুযায়ী, এমন করদাতা, যার বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি, তিনি যদি এই শেষ তারিখের পরে আয়কর রিটার্ন ফাইল করেন তবে তাকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। তবে যাদের বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার কম, তাদের থেকে জরিমানা ১ হাজার টাকা নেওয়া হবে।
তবে যদি কোনো করদাতা বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন তাহলে তাকে উপধারা 234-A অনুযায়ী এর মোট করের পরিমাণের উপর ১ শতাংশ সুদ দিতে হবে। এছাড়াও তাকে বিলম্বের কারণ সঠিকভাবে জানাতে হবে আয়কর দফতরকে। আয়কর আইনের 119 নম্বর ধারা অনুযায়ী তার উপর ১০ হাজার টাকার জরিমানা আরোপ করতে পারে আয়কর দফতর। তবে যারা এই ৩১ শে ডিসেম্বর তারিখটি মিস করবেন, তারা ভবিষ্যতে আরো অনেক বড় সমস্যায় পড়তে পারেন।