whatsapp channel

বাড়বে শুক্রাণুর মান, প্রস্টেটের সমস্যায় ম্যাজিক দেখাবে ফেলে দেওয়া এই সবজির বীজ

প্রতিদিনের রান্নায় অনেক সবজিই ব্যবহার হয়। কিন্তু অনেক সময় এই সমস্ত উপকরণে কিছু কিছু অংশ আমরা বাদ দিয়ে দিই। আপাত দৃষ্টিতে সেগুলি উচ্ছিষ্ট হলেও এই সব অংশেই যে কত পুষ্টিগুণ…

Nirajana Nag

Nirajana Nag

প্রতিদিনের রান্নায় অনেক সবজিই ব্যবহার হয়। কিন্তু অনেক সময় এই সমস্ত উপকরণে কিছু কিছু অংশ আমরা বাদ দিয়ে দিই। আপাত দৃষ্টিতে সেগুলি উচ্ছিষ্ট হলেও এই সব অংশেই যে কত পুষ্টিগুণ লুকিয়ে রয়েছে তা জানলে অবাক হয়ে যেতে হয়। যেমন অনেক সবজির খোসা, বীজ আমরা রান্নার সময় ফেলে দিই। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এই ফেলে দেওয়া জিনিসেই রয়েছে এমন উপকার যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব জরুরি। এই প্রতিবেদনে রইল কুমড়োর বীজের (Pumpkin Seeds) উপকারিতার যাবতীয় তথ্য।

কুমড়োর বীজ সাধারণত রান্নার সময় ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু কুমড়োর বীজেও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। হার্টের সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের জন্য কুমড়োর বীজ খাওয়া খুব ভালো। হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। প্রতিদিন অন্তত দু গ্রাম কুমড়োর বীজ খাওয়া উচিত বলে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কুমড়োর বীজ খেলে রক্তের পরিমাণ বাড়ে শরীরে। সেই সঙ্গে বাড়ে শক্তিও। বর্তমানে জীবনযাপনে অনেকটা পরিবর্তন এসেছে সবার। রাতে ঘুমের রুটিনের পরিবর্তনে ক্লান্তি বেড়েছে। এই সমস্ত মানুষদের জন্য কুমড়োর বীজ খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়।

কুমড়োর বীজে ট্রিপ্টোফ্যান রয়েছে, যা অনিদ্রা দূর করে। তাই যারা ক্রনিক ইনসমনিয়ার শিকার তারা এই বীজ খেলে উপকার পেতে পারেন। কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়ামও রয়েছে। হাড় সুস্থ রাখার জন্য এই খনিজ উপাদান খুব জরুরি। তাই কুমড়োর বীজ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে জরুরি।

বর্তমান জীবনযাত্রার জন্য প্রস্টেটের সমস্যায় ভুগছেন বহু পুরুষ। কুমড়োর বীজ প্রস্টেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পাশাপাশি কুমড়োর বীজে রয়েছে জিঙ্ক, যা শুক্রাণুর মান বৃদ্ধি করে। তাই কুমড়োর বীজ নিয়মিত খেলে তা পুরুষদের যৌন জীবনের ক্ষেত্রেও উপকার সাধন করতে পারে।

Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।

whatsapp logo
Nirajana Nag
Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই