হাড় কাঁপানো শীতের মাঝেই তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস: আবহাওয়ার খবর একনজরে
জানুয়ারীর প্রথমে ঠান্ডা না লাগলেও এখন জানুয়ারীর মাসের প্রায় শেষ। হিসাব মতো শীতের বিদায় পর্ব চলেছে। কিন্তু এই শেষ বেলাতেই একের পর এক বলে ছক্কা হাঁকাচ্ছেন মাঘের শীত। বৃহষ্পতিবার সকালে ফের স্বাভাবিকের নিচে নামল কলকাতার পারদ। আজ কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.১ ডিগ্রি। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা কম। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে বলে জানানো হয়েছে। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি নীচে। সকালে কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়তে রোদের দেখা মিলেছে।
উত্তরবঙ্গে আজ সকাল ঘন কুয়াশা রয়েছে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ঘন কুয়াশার দেখা মিলবে। কুয়াশার জন্য এই সব অঞ্চলে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। দৃশ্যমানতা ৫০ থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে নেমে আসবে কোথাও কোথাও বলেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আগামিকাল ঘন কুয়াশার সর্তকতা দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের কাছাকাছি থাকবে উত্তরবঙ্গে। এর মধ্যে শুক্রবার নাগাদ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ সহ ঝাড়খন্ড লাগোয়া জেলাগুলিতে। শীতের মধ্যে বৃষ্টি। এরপর ঠান্ডা আরো জাঁকিয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গ ছাড়াও উত্তর ভারত জুড়ে চলছে এখন শৈত্যপ্রবাহের দাপট। উত্তর রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের উত্তর পশ্চিমাংশ এবং মধ্যপ্রদেশে এখন শুধুই শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আগামী কয়েকদিন এই পরিস্থিতি চলতে থাকবে বলে জানানে হয়েছে আবহাওয়া দপ্তর থেকে। এই পরিস্থিতির মধ্যে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রবেশ হতে চলেছে উত্তর পশ্চিম ভারতে। এদিন সকালে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘন কুয়াশা রয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে ট্রেন ও বিমান চলাচলে। দেরী করে আর সাবধানে চলাচল হচ্ছে ট্রেন বিমান।