Hoop Sports

‘এক প্যাকেট দুধ কেনারও সামর্থ্য ছিল না’, বুমরাহের ছোটবেলা নিয়ে মুখ খুললেন ‘দ্বিতীয় মা’

দীর্ঘ ১৭ বছর পর খরা কেটেছে ভারতের। টি২০ বিশ্বকাপের ট্রোফি উঠেছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের হাতে। আর তারপর থেকেই একটি নাম খুব বেশি শোনা যাচ্ছে, ‘বুম বুম বুমরাহ’। জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah) কার্যত চোখের মণি হয়ে উঠেছেন সকলের। গোটা বিশ্বকাপ জুড়ে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। এমনকি এখন এমন কথাও প্রচলিত হয়ে গিয়েছে, উইকেট দরকার হলেই বুমরাহ মুশকিল আসান।

কতটা কঠিন ছিল সংগ্রাম

এহেন একজন ক্রিকেট মহাতারকার ছোটবেলায় জীবনটা কেমন ছিল? কতটা সংগ্রাম করে তবে এ জায়গায় পৌঁছেছেন তিনি? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে এ বিষয়ে মুখ খোলেন বুমরাহের দ্বিতীয় ‘মা’ সাংবাদিক দীপল ত্রিবেদী। সম্প্রতি বুমরাহ এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। সেই পোস্টে দীপল জানান, এমন দিনও গিয়েছে যখন ছোটবেলায় এক প্যাকেট দুধও তাঁরা কিনে দিতে পারেননি বুমরাহকে। কিন্তু কখনো অসৎ পথে যাননি তিনি। বরাবর লক্ষ্য স্থির রেখে লড়াই করে গিয়েছেন। আজ সেই লড়াইয়ের পুরস্কারই পাচ্ছেন তিনি।

ছোট থেকেই ছিল খেলার ঝোঁক

দীপল ত্রিবেদীর পোস্ট থেকে জানা যায়, তিনি হলেন বুমরাহের মায়ের বেস্ট ফ্রেন্ড। হাসপাতালে সদ্যোজাত বুমরাহকে কোলে নেওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি জানান, ছোটবেলাতেই মারা যান বুমরাহের বাবা। ছোট থেকে কখনোই পড়াশোনায় ঝোঁক ছিল না তাঁর। বরং সস্তা প্লাস্টিকের বল নিয়ে খেলতেই বেশি ভালোবাসতেন তিনি। দীপালি জানান, ছোট থেকেই বুমরাহের লড়াই ছিল কঠিন। একটু দুধ কিনে দেওয়ার টাকা ছিল না তাঁদের। সংসার চালাতে দিনে ১৮ ঘন্টা কাজ করতেন বুমরাহের মা।

দেশের কাছে আদর্শ বুমরাহ

দীপালি আরো লেখেন, বুমরাহ খুব লাজুক বাচ্চা ছিলেন। বেশি কথা বলতেন না। আর এখন বিশ্বকাপ জেতাতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। এখন তিনি একজন লেজেন্ড। প্রত্যেক ভারতীয়ের উচিত তাঁকে দেখে গর্ববোধ করা এবং শেখা। কিন্তু এখনো তিনি সেই আট বছরের ছোট্ট ছেলেটির মতোই নম্র স্বভাবের রয়েছেন। দীপালি লিখেছেন, অনেকে হতাশায় ডুবে মদ্যপানের মতো বাজে নেশার দিকে ঝুঁকে যায়। কিন্তু তিনি চান না কেউ জীবনে আশা ছেড়ে দিক। তাদের জসপ্রীত বুমরাহ এবং তাঁর জীবন সংগ্রাম দেখে শেখা উচিত।

Related Articles