Hoop Life

ঠাকুমার বানানো ট্রাডিশানাল কই মাছের রেসিপি

কথাতেই আছে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় বাঙালির ভুরিভোজ এর তালিকায় রুই, কাতলার পাশাপাশি ভালো করেই জায়গা করে নিয়েছে কই মাছ। কই মাছের একটি অসাধারণ রেসিপি হল ‘তেল কই’। যা আমরা হয়তো অনেকেই খেয়েছি। কিন্তু আরেকটি রেসিপি যার বেশ একটি সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে তা হলো ‘কই মাছের গঙ্গা যমুনা’ বা ‘কই মাছের হরগৌরী’। ‘হরগৌরী’ বা ‘গঙ্গা যমুনা’ দুটো একই নাম। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন আসবে এমন অদ্ভুত নামকরণ কেন? আসলে এই মাছের এক পাশটা ঝাল হয়, অন্য পাশটা টক হয়। তবে শুধুমাত্র কই মাছে না এই রেসিপিটি যে কোনো মাছ দিয়েই করা যেতে পারে। কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ীতেও বহু যুগ পর্যন্ত জামাইষষ্ঠীর ভোজের অন্যতম পদ ছিল ‘কই মাছের হরগৌরী’। আন্দুল রাজবাড়ি তে প্রচলিত ছিল ‘রুই মাছের হরগৌরী’। তবে হরগৌরীর প্রধান উপাদান কিন্তু কই মাছ।

উপকরণ: কই মাছ টুকরো করে কাটা
সরষের তেল
হলুদ গুঁড়ো
লঙ্কাগুঁড়ো
কাঁচা লঙ্কা বাটা
সরষে বাটা
তেঁতুলের ক্বাথ
কালো জিরে
গোটা সরষে
নুন

প্রণালী: মাছের টুকরোগুলোকে ভালো করে নুন, হলুদ মেখে ভেজে নিতে হবে। কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে কালো জিরে, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিতে হবে। সামান্য হলুদ দিয়ে সরষে বাটা, নুন স্বাদ মত দিয়ে মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে। তবে এই মাছগুলো একপিঠে করেই রাখতে হবে কোনোভাবেই অন্য পিঠ উল্টানো যাবেনা। এবার আরেকটি কড়ায় একটু সামান্য তেল দিয়ে কিছুটা সরষে ফোড়ন দিতে হবে। হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ভাল করে নাড়িয়ে তেঁতুলের ক্বাথ দিয়ে দিতে হবে। সামান্য গরম জল দিয়ে ফোটাতে হবে। এবার প্রথম কড়াই থেকে মাছ তুলে মাছের অন্য পিঠটা দ্বিতীয় কড়াইতে দিয়ে দিতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা তেল ছড়িয়ে পরিবেশন করুন ‘কই মাছের হরগৌরী’ বা ‘কই মাছের গঙ্গা যমুনা’।

কই মাছের গঙ্গা যমুনা

Related Articles