Hoop PlusTollywood

বাংলা জ্বলছে, হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে, দাবী ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তীর

একুশের নির্বাচনে অনেক আশা নিয়ে বুক বাঁধে বিজেপি। মহা সমারোহে বাংলা জয় করতে আসে। কিন্তু এমন ভরাডুবি হবে তা কল্পনার বাইরে। সোনার বাংলা আর গড়া হল না বিজেপির। এই বাংলা জয়ের জন্য টলিউডের বহু সেলিব্রিটি তুলে ধরেছিলেন গেরুয়া শিবির, যার মধ্যে অন্যতম হলেন বাংলার মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী।

কোনো রকম টিকিট ছাড়াই সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। করেছিলেন বহু রোড শো এবং সভা। যদিও মিঠুনের এমন সক্রিয় রাজনীতিতে নিয়ে অনেকেই কটাক্ষ করেন। কারোর কারোর দাবী তার নিজের নীতির ঠিক নেই, কেউ বলেন তার ছেলে মিমোকে ধর্ষণ কেস থেকে বাঁচাতে বিজেপিতে যোগদান। মিঠুনের এতবার দল পরিবর্তনের ইতিহাস কেউই মেনে নিতে পারেননি।

মানুষ ফলাফল জানিয়ে দিয়েছে গত ২রা মে। বিপুল ভোটে জয়ী হন মমতা ব্যানার্জী। একেবারে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যপাট সামলানোর অঙ্গীকার বদ্ধ হন। ঠিক এরই মধ্যে মিঠুন চক্রবর্তীর বড় অভিযোগ, ‘বাংলায় আগুন জ্বলছে, দয়া করে হিংসা থামান’।

মিঠুন চক্রবর্তীর কথায়, ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরেও পরবর্তি হিংসা অব্যাহত। কোথাও বিজেপি (BJP), কোথাও আবার তৃণমূল (TMC) কর্মী-সমর্থক, ভোটের পরেও খুন, বোমাবাজি, মারধরের অভিযোগে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।

এদিন বিজেপি সমর্থক মহাগুরু ট্যুইট করে লেখেন, ‘ ভোটের পরেও বাংলায় হিংসার আগুন জ্বলছে। দয়া করে এই হিংসা বন্ধ করুন। মানুষের জীবন রাজনীতির থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে এই হিংসা বন্ধ করুন।’ এখনও পর্যন্ত, বিজেপির তরফে দাবি, ভোট পরবর্তি হিংসায় তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মিলিয়ে মোট ৬ জন মারা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন তাঁরা। যদিও অভিযোগকে গুরুত্ব দেয়নি মমতা বন্দোপাধ্যায়।

Related Articles