ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য চিংড়ি বাটায় পটলের রসা বানানোর রেসিপি শিখে নিন
পটল অতি সুস্বাদু একটি সবজি। পটল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। পটল খেলে শরীর ঠান্ডা হয় পটলের দোলমা কিংবা পাতলা মাছের ঝোল এর মধ্যে পটল খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মুগের ডালের সঙ্গে পটল ভাজা কিংবা পটল পোস্ত সমস্ত কিছু অসাধারণ রেসিপি। চিংড়ি মাছ দিয়ে পটল অনেকে খেয়েছেন, কিন্তু চিংড়ি মাছ বাটা দিয়ে পটল, মানুষ কম খেয়েছেন।
উপকরণ -»
চিংড়ি মাছ বাটা ৫০০ গ্রাম
পটল ১ কিলো
পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
টমেটো বাটা ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
কাজু বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ
আর মগজ বাটা ২ টেবিল চামচ
পোস্ত বাটা ২ টেবিল চামচ
কিশমিশ বাটা ১ টেবিল চামচ
তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোলমরিচ, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ
নুন, মিষ্টি স্বাদ মত
টক দই
সরষের তেল ১ কাপ
ধনেপাতা কুচি ১ কাপ
চিরে রাখা কাঁচালঙ্কা স্বাদমতো
প্রণালী -»
প্রথমে পটল গুলিকে মাঝখান থেকে দু আধ খানা করে কেটে নিয়ে নিতে হবে। এরপর সামান্য গরম জলে পটল গুলো সেদ্ধ করে নিতে হবে। চিংড়ি মাছকে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে মিক্সিতে বা সিলে বেটে নিতে হবে। কড়াইতে সরষের তেল গরম করে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোল মরিচ, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ফোড়ন দিতে হবে। এরমধ্যে পেঁয়াজ বাটা, টমেটো বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা এবং সমস্ত গুঁড়ো মশলা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে এর মধ্যে কাজু বাদাম বাটা, চারমগজ বাটা, পোস্ত বাটা, টক দই, নুন, মিষ্টি স্বাদ মত দিয়ে আবারও খানিকক্ষণ কষাতে হবে। এরপর চিংড়ি বাটা দিয়ে আবারও ৫ মিনিটের জন্য ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। এরপর ভাপিয়ে রাখা পটলটা দিয়ে দিতে হবে। অসামান্য উষ্ণ গরম জল দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। ঢাকা খুলে ওপরে চিরে রাখা কাঁচালঙ্কা এবং ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন চিংড়ি বাটায় পটলের রসা।