Health Tips: গাঁটের ব্যথা থেকে বদহজম, নানান শারীরিক সমস্যায় অব্যর্থ শিউলি পাতা
সৌন্দর্য ও সৌরভের পাশাপাশি কিছু কিছু ফুলের মধ্যে থাকে বেশ কিছু গুণমান। কাশফুলের মতোই দেবী দূর্গার আগমনী বার্তা নিয়ে আসে শিউলি ফুল। স্নিগ্ধ সুবাসের সাথে সাথে আয়ুর্বেদবিদ্যাতেও শিউলি ফুলের জুরি মেলা ভার। শিউলি ফুলের পাশাপাশি শিউলি পাতার ঔষধি গুণও বেশ জনপ্রিয়। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ এবং কবিরাজরা ঋতু পরিবর্তনের সময় রোজকারের খাদ্যতালিকায় শিউলি পত্রকে রাখার উপদেশ দিয়ে থাকেন।
আয়ুর্বেদ বিদ্যায় শিউলি পাতার বেশ কয়েকটি ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক :
১. শরৎকালের ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকেরই ঠান্ডা লাগার ধাঁচ দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিউলি পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুত সর্দির হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।
২. গাঁটের ব্যথা থেকে উপশম পেতেও শিউলি পাতার রস বেশ কার্যকরী। জলের মধ্যে শিউলি পাতার রস মিশিয়ে সেবন করলে আর্থারাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
৩. মুখের রুচি ফেরাতে, বদহজম থেকে মুক্তি পেতে শিউলি পাতার রস সাহায্য করে। বাচ্চাদের কৃমির সমস্যাবলি কিংবা মধুমেহ রোগ, শিউলি পাতার উপকারিতা অপরিসীম।
৪. শুধুমাত্র পথ্য হিসেবে নয় দুপুরে গরম ভাতের সাথে শিউলি পাতার বড়া ভেজেও খাওয়া যায়। রোজকার আহারে শিউলি পাতা ব্যবহার করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যায়।
৫. খুশকিনাশক, উকুন নাশক হিসেবেও শিউলি ফুল এবং শিউলি বীজ ব্যবহার করা যায়। অকালপক্কতা, স্ক্যাল্পের সমস্যা, চুল পড়া, চুলের গোড়া মজবুত করা, ইত্যাদি ক্ষেত্রেও শিউলি ফুলের উপকারিতা বেশ প্রশংসনীয়।
ল্যাটিন ভাষায় শিউলি ফুলকে ‘নিকট্যানথেস অ্যার্বোর ট্রাইস্টিস’ বলা হয়। ল্যাটিন ভাষায় যার অর্থ সন্ধ্যায় পরিস্ফুটিত বিষন্ন গাছ। এছাড়াও সংস্কৃতে শিউলি ফুলকে ‘শেফালিকা’, ‘পারিজাত’, ‘নিশিপুষ্পিকা’, ইত্যাদি আরও অনেক নামে সম্বোধন করা হয়।