Lifestyle: ডায়াবেটিস হবে ছু মন্তর! ভরসা রাখুন ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপাদানে
আগামী ১৪ই নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস (World Diabetes Day)। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায়,বিশ্ব ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯১ সাল-এ ১৪ নভেম্বরকে ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এছাড়া, এদিন বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক বেনটিং জন্ম নিয়েছিলেন এবং তিনি বিজ্ঞানী চার্লস বেস্টের সঙ্গে একত্রে ইনসুলিন আবিষ্কার করেছিলেন। সুতরাং, আর মাত্র কিছুদিন পরেই এই দিনটি অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন সেবা কেন্দ্রে ও ডাক্তারি মহলে। কিন্তু, ঘরোয়া উপায়েও এই নিঃশব্দ প্রাণঘাতী ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় জানেন কি? আজ, HoopHaap.Com আপনাদের জানাবে ডায়াবেটিস বা মধুমেহ (Diabetes) নিয়ন্ত্রণে চিরতা (Swertia chirayita) পাতার রস কতটা উপকারী।
১) চিরতার জল লিভারকে পরিষ্কার রাখে। যাদের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা আছে তারা চিরতা পাতা ভিজানো জল পান করতে পারেন।
২) চিরতা ভেজানো জল নিয়মিত পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য যথেষ্ট উপকারী। কারণ, চিরতা রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়, এবং ব্লাডের সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এমনকি, এর জল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
৩) চিরতা জল রক্তকে পরিষ্কার করতে ও রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। আর রক্ত সঞ্চালন বা ব্লাড সারকুলেশন উন্নত হলে ত্বক যেমন ভালো থাকে তেমন শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
অনেকেই জানতে চান কি এই চিরতা?
প্রথমত, এটি একটি ভেষজ উপাদান। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রে এর ব্যবহার আছে।আগেকার দিনে বাচ্চাদের জোর করে কালমেঘ পাতা খাইয়ে দেওয়া হত।আপনি কি জানেন যে এই কালমেঘ আর চিরতার মধ্যে বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই। ঘটনা হল, কালমেঘ গাছকে তুলে শুকিয়ে ব্যবহার করা হয় চিরতা বানানোর ক্ষেত্রে। কালমেঘ পাতা গাছের ডাল শুকিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নেওয়া হয় প্রথমে, এরপর, সারারাত ভিজিয়ে রাখা হয় সেটিকে। পরে ঔষধ হিসাবে তৈরি করা হয়। গেঁটে বাত এবং মধুমেহ রোগের জন্য এটি অর্বথ্য ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।