ঠাকুরমার বানানো স্পেশাল সরষে ঢেঁড়স রেসিপি
ঢেঁড়স ভাজা, সেদ্ধ একনাগাড়ে খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন! তবে আজ আমাদের নতুন রেসিপি সরষে দিয়ে ঢেঁড়স চচ্চড়ি। চচ্চড়ি বিষয়টি বাঙালির খাদ্যতালিকায় অনেকদিন আগেই প্রবেশ করেছে। অন্তত ইতিহাস তাই বলছে। ‘ডাঁটা চচ্চড়ি’, ‘কাঁটা চচ্চড়ি’, ‘পাঁঠা চচ্চড়ি’ সবকিছুই রয়েছে। তবে এমন অদ্ভুত নামকরণ কেন হল। এ পিছনে রয়েছে নানান মতামত। কেউ কেউ মনে করেন, এই পদটি রান্না করতে গেলে তেলে দেওয়ার পরই ‘চড়চড়’ করে আওয়াজ হয়। তাই এর নাম ‘চচ্চড়ি’। তবে চচ্চড়ির ভালো নাম ‘ছেঁচকি’। নামকরণ যাই হোক না কেন আজকে আমাদের রেসিপি সরষে দিয়ে ঢেঁড়স চচ্চড়ি। যা অতি সুস্বাদু পদ। ঢেঁড়স আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী সবজি। ঢেঁড়সে রয়েছে ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় শ্বাসকষ্ট দূর করে, কোলেস্টেরল কমায়। গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের জন্য ঢেঁড়স প্রয়োজনীয় একটি সবজি। শুধু তাই নয়, মনের বিষন্নতা দূর করতেও প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় ঢেঁড়স রাখতে পারেন। চলুন দেখে নিই আজকের রান্নার রেসিপি
প্রণালী:
ঢেঁড়স
পেঁয়াজ বাটা
লঙ্কা বাটা
জিরেগুঁড়ো
হলুদ গুঁড়ো
রসুন বাটা
কাঁচা লঙ্কা
সর্ষে বাটা
তেল
নুন
প্রণালী: ছোট ছোট কচি ঢেঁড়স নিয়ে সামনে আর পিছন দিক দিয়ে কেটে নিন। একটি কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ বাটা, লঙ্কা বাটা, জিরে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, রসুন বাটা, গোটা লঙ্কা, নুন দিয়ে ভাল করে কষাতে হবে। কষানো হলে সরষে বাটা দিতে হবে। ভালো করে মসলা কষানো হলে ঢেঁড়স দিয়ে দিতে হবে। ঢেঁড়স দিয়ে কষানোর পর একটু গরম জল দিয়ে চাপা দিয়ে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ রান্নার পরে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ‘সরষে ঢেঁড়স চচ্চড়ি’।