GossipHoop Plus

অমিতাভকে একবার ‘স্যারজি’ না বলার দাম দিতে হয় কাদের খানকে, দুঃখ ছিল সারা জীবনের

ফিল্ম দুনিয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন কাদের খান তাও আবার সামান্য কারণের জন্য। যে মানুষটা একটা সময় ৩০০’র বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন এমনকি ২৫০ টির বেশি মুভিতে স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কাজ করেছিলেন সেই মানুষটিকে একবার সেট থেকে বার করে দেওয়া হয়।

অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন দুর্দান্ত কমেডিয়ান, লিখতেন বিভিন্ন সিনেমার সংলাপ এবং চিত্রনাট্য। এছাড়াও তার একটি পরিচয় ছিল, অভিনয় জগতে ঢোকার আগে তিনি মুম্বাই অবস্থিত এম. এইচ সাবু সিদ্দিকী কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন প্রতিষ্ঠিত অধ্যাপক ছিলেন।

কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠানে তিনি একটি নাটকে অভিনয় করেন, এরপর থেকেই তাঁর অভিনয় জগতের যাত্রা শুরু। অভিনেতা দিলীপ কুমার তার অভিনয় সম্পর্কে যখন জানতে পারেন তখন তাকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানান তিনি। ১৯৭০ সাল থেকে তার সিনেমা জগতে যাত্রা শুরু হয়। হিন্দি সিনেমার পাশাপাশি তিনি উর্দু সিনেমাতে অভিনয় করেন। কাদের খানকে সাধারণত যে কোন সিনেমায় বাবা, কাকা, মামা, ভাই, অথবা খলনায়ক কিংবা খলনায়ক এর সরকারি অথবা কমেডিয়ানের চরিত্র দেওয়া হতো।

একজন বহুমুখী প্রতিভার মানুষকে একবার ফিল্ম থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল। সেইসময় অমিতাভ বচ্চনকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি ‘স্যারজি’ বলেই ডাকতেন। তখনও তিনি ‘শাহেনশা’ হয়ে ওঠেন নি বা ‘বিগ বি’ হয়ে ওঠেন নি। তাই তিনি নিজেকে ‘স্যারজি’ হিসেবেই পরিচয় দিতেন। এবারে যত কান্ড ঘটে এই ‘স্যারজি’ তকমাকে ঘিরেই।

একটা সময় কাদের খান বেশ জমিয়ে স্ক্রিপ্ট রাইটিং এর কাজ করতেন। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত মনমোহন দেশাই এবং প্রকাশ মেহ্‌রার সিনেমায় কাজ করেন কেদার। একদিন এক প্রযোজক কেদারকে জিজ্ঞাসা করেন স্যারজির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে কি না? তখন কেদার হকচকিয়ে যান এবং স্যারজি বলতে কাকে বোঝানো হচ্ছে তিনি তখন তা বুঝতে পারেননি। ঠিক সেই সময় প্রযোজক অমিতাভকে দেখিয়ে বলেন যে ওই যে লম্বা লোকটাকে দেখছেন, গোটা বলি ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে স্যারজি বলেই ডাকে।

সেইদিন কাদের হাসতে হাসতে বলেছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা ভাইকে ‘স্যারজি’ কোনওভাবেই বলা সম্ভব না। ব্যাস এরপরেই তাঁকে খেসারত দিতে হয়। এর কয়েকদিন পর থেকেই কাদের খানকে কাজ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বেশ অনেকদিন তিনি কোন কাজ পাননি বলিউডে। এমনকি তাঁকে নাকি সেট থেকে বার করেও দেওয়া হয়।

কাদের খান যখন পরলোকগমন করেন তখন কিন্তু অমিতাভ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোলেননি। সেদিন অমিতাভ লিখেছিলেন, ‘কাদের খান চলে গেলেন। খুবই দুঃখের খবর। ফিল্মি দুনিয়ার সব থেকে প্রতিভাবান অভিনেতা। আমার বহু সফল ছবির লেখক। সঙ্গে এক জন গণিতবিদও।’

অবশ্য কাদের খান এখনও পর্যন্ত অমিতাভ বচ্চন অভিনীত বেশীরভাগ সিনেমাতে সংলাপ লিখেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম হল, মিঃ নাটওয়ারলাল, খুন পাসি না, দো অর দো পাঁচ, সাত্তে পে সাত্তা, ইনকিলাব, গ্রিফতার, হাম এবং অগ্নিপথ। এছাড়া কাদের খান অমিতাভ বচ্চন অভিনীত সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল। অগ্নিপথ এবং নসিব

https://www.youtube.com/watch?app=desktop&v=u-pIPrA44bo&ab_channel=BollynewsHub

Related Articles