GossipHoop Plus

সাত বছরের ছোট ছেলের সঙ্গে সহবাস, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন অর্চনা পূরণ সিং

বলিউড এক বিরাট ইন্ডাস্ট্রি। হাজার হাজার মানুষ এখানে পা রাখেন নায়ক নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। কেউ কেউ সফল হন। কাউকে আবার স্রেফ অভিনেত্রী হয়েই খুশি থাকতে হয়। নায়িকা হওয়ার ভাগ্য হয় না তাদের। তবে এদের মধ্যেও কয়েকজন এমন অভিনেত্রী রয়েছেন যারা নায়িকা হতে না পারলেও নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে নায়িকাদের সমান জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এই তালিকার অন্যতম জনপ্রিয় নাম অর্চনা পূরণ সিং (Archana Puran Singh)। বলিউডের দীর্ঘদিনের সদস্য তিনি। ‘মিস ব্রিগ্যাঞ্জা’ হয়ে দর্শক হাসানো থেকে শুরু করে এখন তিনি নিজে ‘লাফটার কুইন’ হয়ে বসেছেন কমেডি শো তে।

ইন্ডাস্ট্রিতে বহু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন অর্চনা। অনেকটা লম্বা রাস্তা পেরিয়ে এসেছেন তিনি। ১৯৬২ সালে দেরাদুনে জন্ম অর্চনার। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে পড়াশোনা করেছেন দিল্লির এক কলেজে। পড়াশোনা করার সময়েই তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন বিনোদন জগতে আসবেন। সেই মতোই মডেলিং জগতে পা রাখেন অর্চনা। মডেলিংয়ে কেরিয়ার গড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথম সুযোগ আসে অর্চনার। ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নিকাহ’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। তবে সেটা করা আর না করা ছিল প্রায় সমান। মাত্র ১০-১২ সেকেন্ডের একটি চরিত্র পেয়েছিলেন অর্চনা।

এরপরে বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে কাজ করেন তিনি। ‘জলওয়া’ ছবিতে প্রথম নাসিরুদ্দিন শাহের বিপরীতে অভিনয় করেন অর্চনা। কিন্তু সেখানেও তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি। সাফল্য ছিল অধরা। শেষমেষ সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করা শুরু করেন তিনি। কিন্তু তাতেও সমস্যা। এক ধরণের চরিত্রে কাজ করে করে গতে বাঁধা হয়ে পড়েছিলেন অর্চনা। ভিন্নতা আনতে ‘রাত কি গুনাহ’ ছবিতে ইনস্পেক্টর রেশমার চরিত্রে অভিনয় করেন অর্চনা। কিন্তু বেশ কয়েক বছর পরে এই ছবিটি করা নিয়ে আফসোস করেছিলেন তিনি। মূলত বি গ্রেড, খলনায়িকার চরিত্রে বেশি দেখা গিয়েছে তাঁকে। দীর্ঘদিন কাজ করার পর ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিটি বলিউডের মূল ধারায় পরিচিতি এনে দেয় তাঁকে। এরপর থেকে পরপর বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন অর্চনা। তবে তাঁর মতে, তাঁকে অধিক পরিচিতি দিয়েছে ছোটপর্দা।

ব্যক্তিগত জীবনেও কম উত্থান পতন আসেনি তাঁর। কেরিয়ারের শুরুতেই প্রথম বিয়ে ভাঙে অর্চনার। তারপর তাঁর জীবনে আসেন বর্তমান স্বামী অভিনেতা পরমীত শেঠি। কিন্তু প্রথম বিচ্ছেদের পর সম্পর্ক এবং পুরুষ জাতির উপর থেকে বিশ্বাস উঠে গিয়েছিল অর্চনার। পরমীতের সঙ্গে লিভ ইন শুরু করলেও বিয়ে করতে চাননি তিনি। উপরন্তু পরমীত ছিলেন তাঁর থেকে সাত বছরের ছোট। ফলতঃ এই সম্পর্কটা নিয়ে সমাজের চোখরাঙানির পাশাপাশি পারিবারিক বাধাও এসেছিল। কিন্তু অর্চনার সঙ্গ ছাড়েননি পরমীত। ১৯৯২ এ ছোটপর্দায় একটি বড় কাজের সুযোগ পেয়ে সেদিন রাতেই নিজেদের বাড়ির ছাদে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অর্চনা পরমীত। দুই ছেলে রয়েছে তাঁদের।

Related Articles