সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput)-এর আকস্মিক মৃত্যুর পর থেকে বলিউডের চোরাগোপ্তা মাদকচক্র সামনে এসেছে। প্রতিনিয়ত বলিউড থেকে মাদক যোগ সামনে আসছে। এর মধ্যেই এনসিবি-র জালে জড়িয়ে পড়েছেন শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)-এর পুত্র আরিয়ান খান (Ariyan Khan)।
এখনও অবধি এনসিবি কর্তারা প্রায় ছয় ঘন্টা ধরে আরিয়ানের মাদক যোগ নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এনসিবি সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, আরিয়ান স্বীকার করে নিয়েছেন, প্রমোদতরীর মাদক পার্টিতে তিনি মাদক নিয়েছেন। তা নিয়ে আরিয়ানের অনুশোচনা রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, মাদক সেবন করে ভুল করেছেন তিনি। তবে এর আগে আরিয়ান এরকম কিছু করেননি বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই শাহরুখ তাঁর পুত্রের জন্য বিখ্যাত আইনজীবি সতীশ মানশিন্ডে (Satish Manshinde)-কে নিয়োগ করেছেন। সতীশ ও তাঁর প্রতিনিধিরা এনসিবি-র দপ্তরে পৌঁছে গিয়েছেন।
View this post on Instagram
এনসিবি-র তরফে জানানো হয়েছে, আরিয়ানের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাট। এমনকি তিনি কোনও মাদকচক্রের সাথে যুক্ত রয়েছেন কিনা, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। বন্ধুদের বিভিন্ন গ্রুপে তিনি কি ধরনের আলোচনা করতেন, তা-ও এখন তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। তবে ছয় ঘন্টা অতিক্রান্ত হলেও আরিয়ানকে জেরা এখনও শেষ হয়নি। তাঁর হাতে মাদক এল কিভাবে, তা জানতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তবে শাহরুখ বা এনসিবি-র তরফে এখনও মিডিয়ায় কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
শনিবার রাতে আরিয়ানকে মুম্বইয়ের কর্ডেলিয়া নামে একটি প্রমোদতরী থেকে আটক করে এনসিবি। ওই প্রমোদতরীর পার্টিতে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন আরও কয়েকজন বলিউড তারকা। কিন্তু এনসিবি যখন হানা দেয়, তখন ওই পার্টিতে কাউকে মাদক সেবন করতে দেখা যায়নি। এই ধরনের পার্টি সম্পর্কে আরিয়ানের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। কর্ডেলিয়ার পার্টিতে ভিভিআইপি তালিকায় নাম থাকায় কোনও প্রবেশমূল্য ছাড়াই এন্ট্রি পেয়েছিলেন আরিয়ান। তিনি নিজেই জেরায় এই কথা জানিয়েছেন।
এনসিবি-র তরফে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, আরিয়ানের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য পাওয়া গেলে তাঁকে ‘নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস’ বা এনডিপিএস আইনে মামলার আওতায় আনা হতে পারে।
View this post on Instagram
গত রাতে কর্ডেলিয়ার ওই তারকাখচিত পার্টিতে এনসিবি-র মুম্বই জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede) ও তাঁর টিম সাধারণ পোশাকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল, ওই পার্টিতে ড্রাগ সরবরাহ করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, কর্ডেলিয়া মাঝ সমুদ্রে পৌঁছানোর পর এই ড্রাগ পার্টি শুরু হয়। আরিয়ানকে জেরা করে মাদকচক্র সম্পর্কে কোনও সূত্র পাওয়া যেতে পারে বলে তাঁরা আশাবাদী।
View this post on Instagram