Recipe: ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য ‘কাঁচা আম নারকেল বাটার ডিম কষা’ রেসিপি
ডিম খেতে কে না ভালোবাসে। ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভালো। বিশেষ করে বাড়িতে যদি বাচ্চা বা বৃদ্ধ মহিলা থাকেন, তাদের অবশ্যই রোজ একটি করে ডিম খাওয়া উচিত। ডিমের মধ্যে থাকা উপযুক্ত প্রোটিন এবং ফ্যাট শরীর গঠন করতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিম চুল ভালো রাখতেও সাহায্য করে। তাই আপনি যদি সব মিলিয়ে একজন সুস্থ ব্যক্তি হন। তো প্রতিদিন একটি করে ডিম সেদ্ধ খেতে পারেন, তো বাড়ির বাচ্চাদের যদি ডিম খাওয়াতে চান, এটি রান্না চটজলদি করে ফেলতে পারেন। তাই আর দেরি না করে চটপট দেখে ফেলুন অসাধারণ এই রেসিপিটি। Hoophaap এর পাতায় দেখে ফেলুন এই অসাধারণ রেসিপি।
উপকরণ –
সিদ্ধ করার ডিম
পাঁচটি নারকেল বাটা ৩ টেবিল চামচ
কাঁচা আম বাটা ৪ টেবিল চামচ
পোস্ত বাটা ৩ টেবিল চামচ
চারমগজ বাটা ১ টেবিল চামচ
সরষে বাটা ৩ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুচি এক মুঠো
সরষের তেল ৫ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো স্বাদমতো
নুন, মিষ্টি স্বাদ মত
প্রণালী – কাঁচা আম ভালো করে বেটে নিতে হবে। এরপর সেদ্ধ করা ডিম কড়াইতে সরষের তেল গরম করে হালকা হলুদ আর নুন দিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। তারপর এই ভেজে রাখা সেদ্ধ ডিমের সঙ্গে নারকেল বাটা, আম বাটা, পোস্ত বাটা, চারমগজ বাটা, সরষে বাটা, ধনেপাতা কুচি, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, নুন, মিষ্টি স্বাদ মত দিয়ে ভালো করে হাত দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। তারপর সামান্য সর্ষের তেল দিয়ে দিতে হবে। এবার কড়াইতে তেল গরম করে দু একটা শুকনো লঙ্কা দিয়ে দিয়ে পুরো মিশ্রণটি দিয়ে দিন। কম আঁচে ওপরে একটি ঢাকা দিয়ে রাখুন বেশ খানিকক্ষণ পরে অর্থাৎ পাঁচ মিনিট পরে খুন্তি দিয়ে নাড়িয়ে চাড়িয়ে একবার দেখে নিন যদি প্রয়োজন হয়, জল দেবেন। আর যদি মনে করেন শুকনো শুকনো ভালো লাগবে তাহলে জল দিতে হবে না। প্রয়োজনে জলের ছিটে দিতে পারেন। দেখবেন পাশ দিয়ে নারকেল থেকে সুন্দর তেল বেরিয়ে গেছে। নামানোর পরে উপরে ধনেপাতা কুচি, সামান্য কোরানো নারকেল এবং কাঁচালঙ্কা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘কাঁচা আম নারকেল বাটা দিয়ে ডিম কষা’।