Recipe: ফ্রিজে থাকা কম মাংস দিয়েই চটজলদি বানিয়ে ফেলতে পারেন কিমা বিরিয়ানি, জেনে নিন সহজ রেসিপি
ফ্রিজে মাত্র অল্প একটু মাংস আছে কি করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না? চটজলদি বানিয়ে ফেলতে পারেন কিমা বিরিয়ানি কিংবা বিরিয়ানি খেতেও বেশি বিরিয়ানির মতন হবে। বাড়িতে যদি হঠাৎ করেও অতিথি চলে আসে, তাহলে এর মধ্যে কয়েকটা আলু আর ডিম ফেলে দিলেই বিরিয়ানির থেকে কোন অংশে কম হবে না, তাই আর দেরি না করে চটপট দেখে ফেলুন কিভাবে তৈরি করবেন কিমা বিরিয়ানি।
উপকরণ –
মাংসের টুকরো ৫০০ গ্রাম
নুন, মিষ্টি স্বাদমতো
ভালো বাসমতি চাল এক কিলো
ঘি চার টেবিল চামচ
সাদা তেল পরিমাণ মতো
গোটা গোলমরিচ
শুকনো লঙ্কা
তেজপাতা
এলাচ
লবঙ্গ
দারচিনি পরিমাণ মতন
বিরিয়ানি মশলা পরিমাণ মতো
পেঁয়াজ বাটা তিন টেবিল চামচ
আদা বাটা দুই টেবিল চামচ
রসুন বাটা তিন টেবিল চামচ
কুচি করা পেঁয়াজ দুটি
টমেটো বাটা তিন টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো এক টেবিল চামচ
ধনে গুঁড়ো এক টেবিল চামচ
জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
প্রণালী – প্রথমে ভাত অর্ধেকটা করে নিতে হবে। তারপর কড়াইতে তেল গরম করে একে একে সাদা তেল গোটা গোলমরিচ, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, এলাচ লবঙ্গ দিয়ে মাংস দিয়ে খুব ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে তারপর তার মধ্যে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, টমেটো বাটা দিয়ে ভালো করে মশলা দিয়ে মাংস কষাতে হবে। বিরিয়ানি মশলা সামান্য পরিমাণে দিয়ে দিতে হবে।
প্রেসার কুকারে খুব ভালো করে ঘি মাখিয়ে নিতে হবে, তারপর এর মধ্যে একে একে ভাত দিতে হবে। তার ওপরে মাংস দিয়ে আবারো ভাত দিতে হবে। মাঝেমধ্যে বিরিয়ানির মশলা দুধের মধ্যে দুধ দিয়ে দেবেন, তবে সবার প্রথমে তেলের মধ্যে কুচি করা পেঁয়াজ ভেজে তুলে রাখবেন ।
মাঝে মাঝে ভাত এবং মাংসের মাঝে পেঁয়াজ কুচিও দিয়ে দিতে পারেন, যদি ইচ্ছা করে তাহলে আলু এবং ডিম সেদ্ধও দিতে পারেন। এরপর প্রেসার কুকারে ঢাকা বন্ধ করবেন তবে কখনোই সিটি আর গার্ডার লাগাবেন না। মোটামুটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট দমে রান্না করবেন। ভালো করে রান্না হয়ে গেলে প্রেসার কুকারে একটু ঝাকিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন কিমা বিরিয়ানি।