ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য কাঁচকলার দম নিরামিষ রেসিপি
কাঁচকলা খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। পেটের গন্ডগোল হলে আমরা প্রায়শই কাঁচকলার ঝোল খেয়ে থাকি। কাঁচকলা পেট পরিষ্কার রাখতে পেট ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাঁচকলার মধ্যে যে পরিমাণ রাফেজ থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে, কাঁচকলা জুড়ি মেলা ভার। রক্তশূন্যতায় কাঁচকলা খেতে পারেন। কাঁচকলা রান্নায় দিলে রান্নার স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়, যাদের হিমোগ্লোবিন কম আছে, তারা অবশ্যই কাঁচকলা খান। সমস্ত বাচ্চারা বা বাড়ির বড়রা কাঁচকলা খেতে পছন্দ করেননা, তাদেরকে এই রেসিপিটা একবার করে দিতে পারেন।
উপকরণ –
দুটো আলুর টুকরো টুকরো করে কাটা
চারটি কাঁচকলা টুকরো টুকরো করে কাটা
জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো ১ চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
নুন, মিষ্টি স্বাদ মত
আদা বাটা ১ চা চামচ
টমেটো বাটা এক টেবিল চামচ
তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা জিরে
সরষের তেল ৫ টেবিল চামচ
ঘি ১ টেবিল চামচ
প্রণালী – কড়াইতে সরষের তেল, গরম করে শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে তাতে আদা বাটা, টমেটো বাটা ভালো করে কষাতে হবে। এরপর এর মধ্যে সামান্য নুন, হলুদ, গুঁড়ো মশলা দিয়ে সেদ্ধ করা কাঁচকলা দিয়ে দিতে হবে। আলুর টুকরো দিয়ে দিতে হবে। ভালো করে কষাতে হবে। সামান্য উষ্ণ গরম জল দিয়ে বেশ খানিকক্ষণের জন্য ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। ঢাকা খুলে ঘি এবং গরম মশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে বেশ খানিকক্ষণ স্ট্যান্ডিং টাইমে রেখে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘নিরামিষ কাঁচকলার দম’।