ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য নিরামিষ কচু শাকের ঘন্ট বানানোর রেসিপি
শনিবার অনেকেই নিরামিষ আহার করেন। বাড়িতে যদি অতিথি আপ্যায়ন হয় কিংবা নিজেদের মুখের স্বাদ বদলানোর জন্য অবশ্যই তৈরি করে ফেলতে পারেন নিরামিষ কচু শাকের ঘন্ট। কচু শাকের মধ্যে রয়েছে অনেক গুণ যারা খেতে চান না তাদেরকে অবশ্য করেই এই রান্নাটা করে একবার খাওয়ান।
কচুর শাক ভারতবর্ষে অতি পরিচিত একটি শাক। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। বাড়ির উঠোনে, ধানের ক্ষেতে, বিলের ধারে যত্রতত্র বিনা যত্নে বেড়ে ওঠে এই শাক। কচুর কাণ্ড ও পাতায় সবকিছুতেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি। কচুশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, শর্করা বিভিন্ন খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে।
কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা সহজে হজম করতে সাহায্য করে। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তারা অবশ্যই কচুর শাক খান। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে কচু শাক এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কচুর শাক খেলে, কোলন ক্যান্সার ঠেকানো সম্ভব। কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস। দাঁত এবং হাড়ের গঠনে এইসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উপকরণ -»
কচু শাক বড় বাটির এক বাটি
কুরানো নারকেল এক বাটি
ছোলা সেদ্ধ পরিমাণমতো
আদা বাটা ১ চা চামচ
জিরে বাটা ১ টেবিল চামচ
নুন মিষ্টি স্বাদ মত
হলুদ ১ চা চামচ
লঙ্কাগুঁড়ো স্বাদমতো
কালোজিরে ১ চা চামচ
শুকনো লঙ্কা স্বাদমতো
সরষের তেল ১ কাপ
প্রণালী -»
একটি পাত্রের মধ্যে সরষের তেল গরম করে তাতে কালো জিরে, শুকনো লঙ্কা ফোঁড়ন দিয়ে, আদা বাটা, জিরে বাটা দিয়ে ভালো করে ভেজে হালকা সেদ্ধ করে রাখা কচু শাক দিয়ে দিতে হবে। এর আগে অবশ্য সেদ্ধ করে রাখা ছোলা সামান্য তেলে ভেজে তুলে রাখতে হবে। কচুর শাক দিয়ে নুন মিষ্টি স্বাদ মত দিয়ে হলুদ গুঁড়ো দিয়ে একটু চাপা দিয়ে রাখতে হবে। চাপা খুলে কুরিয়ে রাখা নারকোল এবং সেদ্ধ করে ভেজে রাখা ছোলা দিয়ে স্বাদমতো শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে নাড়াতে হবে। মিষ্টির পরিমাণ একটু বেশি দিতে পারেন। ভাল করে নাড়িয়ে চাড়িয়ে বেশ মাখোমাখো হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন নিরামিষ কচু শাকের ঘন্ট।