Hoop Food

Recipe: ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য মুলো পালং ঘন্ট নিরামিষ রেসিপি

শীতকাল মানেই বাজারে প্রচুর পরিমাণে মুলো শাক এবং পালং শাক পাওয়া যায়। সব সময় মুলো কেনার পরে আমরা মুলো শাকের পাতা রেখে দিই না, অনেক সময় ফেলে দিই। কিন্তু এগুলো ফেলে দেওয়া একেবারেই উচিত নয়, নিরামিষ এর দিন চটজলদি বানিয়ে ফেলতে পারেন Hoophaap স্পেশাল অসাধারণ মুলো পালং ঘন্ট ( Mulo Palang Ghonto)

উপকরণ –
ছোট এক বাটি মুলো শাক কুচি করে কাটা
দু আঁটি পালং শাক
একটা গোটা মুলো
ধনেপাতা কুচি এক মুঠো
পাঁচফোড়ন ১ চা চামচ
শুকনো লঙ্কা দুটি
তেজপাতা দুটি
গোটা জিরে এক চা-চামচ
গোটা ধনে ১ চা-চামচ
মেথি ১ চা চামচ
গোটা কালো সরষে ১ চা চামচ
সরষের তেল ৫ টেবিল চামচ
আদা বাটা এক টেবিল চামচ
টমেটো বাটা এক টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো স্বাদমতো
নুন, মিষ্টি স্বাদমতো
বড়ি স্বাদমতো

প্রণালী- প্রথমে সমস্ত শাককে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। একেবারে ছোট ছোট সরু করে লম্বা লম্বা করে কেটে সামান্য গরম জলে ভাপিয়ে রাখতে হবে। এরপর শুকনো খোলায় গোটা জিরে, গোটা ধনে, মেথি, কালো সরষে, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, পাঁচফোড়ন দিয়ে ভালো করে শুকনো খোলায় ভেজে নিতে হবে। তারপর এই পুরো মশলাটি মিক্সিতে গুঁড়ো করে রাখতে হবে। কড়াইতে সরষের তেল গরম করে তাতে বড়িগুলি ভেজে তুলে রাখতে হবে। সামান্য পরিমাণে পাঁচফোড়ন দিয়ে তার মধ্যে আদা বাটা, টমেটো বাটা, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো এবং মিক্সিতে করে রাখা এই গুঁড়ো মশলা দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। তারপর দু রকমের শাক দিয়ে দিতে হবে। নুন মিষ্টি স্বাদ মত দিতে হবে। ভালো করে সেদ্ধ সেদ্ধ হয়ে গেলে এরপর নুন, মিষ্টির স্বাদ মত দিয়ে সেদ্ধ করে রাখা মুলো দিয়ে দিতে হবে।

ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিয়ে ভেজে রাখা বলে বড়ি দিয়ে দিতে হবে। বেশ খানিকটা নাড়াচাড়া করে শাক থেকে বেরোনো জল যখন সিদ্ধ হয়ে যাবে, তখন ভালো করে মাখো মাখো হয়ে গেলে ওপরে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মুলো পালং ঘণ্ট।

whatsapp logo