Bengali SerialHoop Plus

Serial: বাথটাবে সাদা ফেনায় আবৃত ‘সাঁঝের বাতি’-এর ‘চারু’, ছবি দেখে রেগে আগুন রিজওয়ান

কলিযুগে বোধ হয় বাথটবই সেলেব্রিটিদের এক এবং অন্যতম শান্তিসূচক। একটু অবসর পেলেই ওঁদের দেখা যায় বাথটবেই, সাদা ফেনায় আবৃত হয়ে। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে শেষ এপিসোড সম্পূর্ণ হয়েছে ‘সাঁঝের বাতি: নতুন পৃথিবী’। কিছুদিন পরেই রাজ চক্রবর্তীর প্রযোজনায় নতুন কাজ শুরু করবেন দেবচন্দ্রিমা ওরফে ‘সাঁঝের বাতি: নতুন পৃথিবী’র চারু। এরই ফাঁকে তিনি বেড়িয়ে পড়েছেন কোনো অজানা জায়গায় ছুটি কাটাতে। ছুটির আমেজে আজকালকার বাথটাব প্রথার অন্যথা হতে না দিয়ে বাথটাবে আধাশোয়া অবস্থায় সাদা ফেনা মেখে ছবি শেয়ার করেই ফেললেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন হিন্দি রোম্যান্টিক গান, “আজ যানে কি জিদ না করো”। ছবিটি দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ রিজওয়ান অর্থাৎ ‘সাঁঝের বাতি’তে চারুর স্বামী আর্য-এঁর। রীতিমত হুমকি দিয়েই বলে বসলেন, “এমন ছবি পোস্ট করলে আর এরকম ছবি তুলেই দেবো না”। হয়ত তাঁর এমনতর বকাঝকার কারণেই সোমবার চারু সুইমিং পুলের ধারে সুইমস্যুট পরে ছবি পোস্ট করতে গিয়েও বড় সাদা টুপি দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন নিজেকে। সে যাই হোক, তাঁর জন্য প্রশংসার আর কোনো অবশিষ্টাংশই রাখেননি নেটপাড়ার অনুরাগীরা।

দেবচন্দ্রিমা কি একাই গিয়েছিলেন বেড়াতে?
নেটিজন ভেবেছিলেন দেবচন্দ্রিমা একাই ব্যাগপত্র গুটিয়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন কোনো এক অচিন শহরে অথবা গ্রামে। অথচ রিজওয়ানের মন্তব্যে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে দর্শকের চারু এবারে অন্তত একা যাননি। সঙ্গে ছিলেন রিজওয়ান। ৮০০ পর্ব সম্পন্ন করেছিল ‛সাঁঝের বাতি’। এতদিন একসাথে কাজ করে এক অদ্ভুত বন্ধুত্বের সূচনা হয়েছিল নায়ক-নায়িকার মধ্যে। দেবচন্দ্রিমা জানিয়েও ছিলেন তিনি আর রিজওয়ান একে অপরের পরম বন্ধু। ঠিকই তো বন্ধু হয়ে কি ভালবাসা যায়না!

এখন কি রিজওয়ানের সাথে প্রেমের মেলবন্ধনে আবদ্ধ দেবচন্দ্রিমা?
অভিনেত্রীর প্রাক্তন সায়ন্ত মোদকের সাথে কিছুমাস আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে। শোনা যায় দুজনে মিলে মালদ্বীপও ভ্রমণ করে এসেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল ভিডিও ও ছবির সংখ্যাও ছিল অনেক। গুঞ্জন রটেছিল, ‘ ধারাবাহিকে অভিনয় করা কালীন নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন দেবচন্দ্রিমা জনপ্রিয় নায়ক রিজওয়ানের সাথে। তবে কি এটাই সায়ন্ত মোদকের সাথে বিচ্ছেদের মূল কারণ! উত্তরে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, “অন্য কারোর জন্য ব্রেক আপ কেন হবে? একটি ভালোবাসার ব্রেক আপের পিছনে অন্য কেউ থাকেনা। থাকে শুধু অন্যান্য কারণ। আর সেটা একান্ত ব্যক্তিগত।”

Related Articles