Digha: আর বসা যাবে না দিঘা বিচে! প্রশাসনের সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পর্যটকদের
বাঙালি বা দিঘার (Digha) সংযোগ অবিচ্ছেদ্য। শহুরে ব্যস্ততা থেকে দুদিনের বিরতি নিয়ে সমুদ্রের হাওয়া খাওয়ার জন্য হাতের কাছে দিঘাতেই ভিড় করে কমবেশি সকলেই। সমুদ্রের ধারে বসে হাওয়া আর সঙ্গে মাছ ভাজা খেতে খেতে ছুটি উপভোগ করেননি, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দিঘা গেলেই সমুদ্রের ধারে বরাবর চোখে পড়ে প্রচুর অস্থায়ী দোকান। কোথাও মাছ ভাজা, কোথাও ঝিনুক, শঙ্খের নানান সৌখিন জিনিসপত্র, কোথাও ডাব বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে দিঘার এই চেনা পরিচিত দৃশ্য এবার বদলাতে চলেছে। দিঘায় অবৈধ হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে।
দিঘা বিচে হকার উচ্ছেদ
বেশ অনেকদিন ধরেই সৈকত নগরীর সৌন্দর্যায়নে বিশেষ নজর দিয়েছে সরকার। সমস্ত মরশুমেই প্রচুর পর্যটক সমাগম হয় দিঘায়। পর্যটকদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় এবং সৈকতের সৌন্দর্য বজায় থাকে তার জন্য এবার বেআইনি দখলদারি রুখতে মাঠে নামল পর্ষদ। সৈকতের ধারে, রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকান, অবৈধ ঝুপড়ি উচ্ছেদ অভিযানে হাত লাগান দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকরা। দিঘা থানার পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে বিচ বরাবর হকারদের তুলে দেওয়া হয়েছে।
দিঘা পর্যটনে নয়া উদ্যোগ
নিউ দিঘা থেকে ওল্ড দিঘা পর্যন্ত সৈকতে এবং রাস্তার দু ধারে রাখা যাবে না কোনো অস্থায়ী দোকান। সকলেই জানেন, দিঘায় বর্তমানে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মন্দির তৈরি হচ্ছে। এই মন্দিরের উদ্বোধন হওয়ার পর দিঘা পর্যটন ব্যবস্থা আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। তার আগে অবৈধ হকারদের দখলদারি রুখতে তৎপর পর্ষদ।
কড়া পদক্ষেপ পর্ষদের
দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, বিচ বরাবর যে হকাররা বসেন তাদের উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেঞ্চ নিয়ে যারা বসেন, যারা ডাব বিক্রি করেন তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, জেলা প্রশাসন এবং দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে বিচে আর কাউকে বসতে দেওয়া হবে না। আগে থেকেই নাকি ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো নির্দেশেই তারা মান্যতা দেয়নি। তাই এবার পর্ষদকেই নিতে হল কড়া পদক্ষেপ।