ডায়াবেটিসের যম, খেতেও সুস্বাদু, শাপলার এত গুণ জানতেন?
মানুষ সর্বভূক। আমিষ থেকে নিরামিষ কোনো কিছুতেই অরুচি নেই মানুষের। তবে এমন অনেক কিছু রয়েছে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। উদাহরণস্বরূপ শাপলা ফুলের (Water Lily) কথাই ধরুন। গ্রাম বাংলায় এই ফুল আনাচে কানাচে ফুটে থাকতে দেখা যায়। পুকুর বা দিঘীর জলে শাপলা ফুটে থাকার দৃশ্য যেমন মনোরম, তেমনি এই ফুল খেতেও সুস্বাদু। শাপলার গুণ এবং এর উপকারিতা (Health Tips) সম্পর্কে জানলে অবাক হয়ে যাবেন। তার জন্য পড়ে ফেলুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটা।
শাপলা ফুলের প্রায় ৭০-৮০ টি প্রজাতি থাকলেও বাংলায় মূলত সাদা এবং লাল এই দুটি প্রজাতিই পাওয়া যায়। শাপলা ফুল অনেকেই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন। সঠিক ভাবে রান্না করলে এই ফুল খেতেও খুবই সুস্বাদু। আবার এই ফুলের প্রচুর ঔষধি গুণও রয়েছে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। কী কী গুণ রয়েছে শাপলার?
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শাপলা ফুল খাওয়া খুব উপকারী। আমাদা রোধ করতে এবং অতিরিক্ত তৃষ্ণা রোধ করতে এই ফুল ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি হজমের সমস্যাতেও শাপলা খুব উপকারী। জানলে অবাক হবেন, অনেক ওষুধ তৈরিতেও ব্যবহার হয় শাপলা ফুলের বীজ। শুধু ঔষধি গুণই নয়। আরো ব্যবহার রয়েছে এই ফুলের। মনসা পুজোয় দরকার হয় সাদা শাপলা ফুল। বর্ষা এবং শরৎকালই শাপলা ফুল ফোটার সময়।
কিন্তু কীভাবে খাবেন শাপলা? এই উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ রান্না করে খাওয়া যায়। ইলিশ এবং চিংড়ি মাছের সঙ্গে শাপলার ডাঁটা রান্না করে খেলে স্বাদ হবে দ্বিগুণ। নারকেল বাটা দিয়ে শাপলার ঝোলও খেতে পারেন। কিংবা জিরে ফোরণ দিয়ে শাপলার ঝোলও খেতে হয় অপূর্ব স্বাদের। শাপলার বীজ খইয়ের মতো করে ভেজেও খেতে পারেন। বাজারে একবার ঢুঁ মারলেই এই সময়ে নামমাত্র দামে পেয়ে যাবেন শাপলা। বাড়িতে এনে মন মতো করে রান্না করে নিলেই হল।