এই চার ধরনের মিষ্টি খেলেই থাকবে না সুগার হওয়ার ভয়
শুধুমাত্র সুগারের রোগীরা নয়। এখন প্রত্যেকের জীবন থেকেই চিনি কে বর্জন করা ভীষণ প্রয়োজন। চিনি শরীরের মধ্যে নানান ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। তাই প্রত্যেকেই যদি স্বাভাবিক ভাবে চিনিকে নিজের জীবন থেকে বর্জন করতে পারেন তাহলে অনেক রোগের হাত থেকে মুক্তি পাবেন। কিন্তু তা বলে কি মিষ্টি খাবেন না তা কখনো হয়? নিশ্চয়ই খাবেন জেনে নিন চিনির বিকল্প হিসেবে চারটি মিষ্টি উপাদান
১) প্রথমেই যে উপাদানটি আমাদের হাতের কাছে থাকে সেটি হল মধু। মধু শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী একটি উপাদান। এটি চিনির বিকল্প হিসাবে কাজ করতেই পারে। যেকোনো শরবতে বা রাতে যদি দুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে দুধের মধ্যে এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে খেয়ে ফেলতে পারে। এতে ওজন বৃদ্ধি পায়, শরীর ভালো থাকে, রাতে ঘুম ভালো হয়।
২) দ্বিতীয় উপাদান হিসাবে যেটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হলো সেটি হল মিছরি। প্রতিদিন রাত্রিবেলা মৌরি, মিছরির জল ভিজিয়ে পরের দিন সকালে সেটি পান করুন। মৌরি এবং মিছরি দুটোই শরীরের জন্য ভীষণ ভালো উপাদান। তাছাড়া মিষ্টিজাতীয় যেকোনো খাবার বানাতে অথবা শরবত বানাতে চিনির জায়গায় ব্যবহার করুন মিছরি। তবে বাজারচলতি যে ছোট ছোট বর্গক্ষেত্রের আকারের মিছরি পাওয়া যায় সেগুলো কখনোই কিনবে না। ড্যালা মিছরি সব সময় বাজার থেকে কিনে আনবেন।
৩) মিষ্টির জায়গায় আরেকটি উপাদান ব্যবহার করতে পারেন সেটি হল খেজুর। বাজার থেকে ভাল খেজুর কিনে এনে একটি ফ্রাইং প্যানে শুকনো খোলায় ড্রাই রোস্ট করে নিন। এরপর একটি মিক্সির এর মধ্যে খেজুর গুলি দিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এরপর দুধের মধ্যে কিংবা যেকোনো মিষ্টি তৈরির সময় ব্যবহার করুন এই খেজুরের গুঁড়ো।
৪) চিনির জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন গুড়। গুড় সস্তা একটি উপাদান। খুব সহজেই বাজারে পাওয়া যায়। তবে অনেক সময় বড় বড় শপিং মলে বা অনলাইনে জাগেরি পাউডার পাওয়া যায় অর্থাৎ গুড়ের গুঁড়ো। এটিও ব্যবহার করতে পারেন।
তাহলে জেনে গেলেন তো এবার চিনির বিকল্প হিসেবে কি মিষ্টি ব্যবহার করতে পারেন। তাই আর দেরি না করে আপনার প্রাত্যহিক জীবন থেকে চিনিকে একেবারে বাদ দিয়ে দিন। সুস্থ থাকবেন।