Skin Care Tips: ত্বকের বয়স কমাতে চান? ভাত-কফির মিশ্রণে ফিরে পাবেন হারানো যৌবন
বিকেলবেলা হলেই বর্ষাকাল হোক কিংবা শীতকাল এক কাপ কফিতে চুমুক দিতে আমাদের সকলেরই ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু আপনি কি জানেন? রাতে শুতে যাবার সময় যদি কফির সঙ্গে মাত্র তিনটি জিনিস মিশিয়ে নিতে পারেন, তাহলেই আপনার ত্বক হবে একেবারে দুধের মতন পরিষ্কার। শুধু তাই নয়, অনেকেই অকাল বার্দ্ধক্য হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন তাই যাদের বয়স হয়ে গেছে তারাও কিন্তু এগুলো সহজেই ব্যবহার করতে পারেন।
কফি আর বাসি ভাতের সাথে মিশিয়ে নিন মাত্র তিনটি উপকরণ। তিনটি উপকরণ তিন দিন আলাদা করে ব্যবহার করতে পারেন। এই এক একটি উপকরণ আপনি ফ্রিজে রেখে অন্তত তিন দিন রেখে ব্যবহার করতে পারেন। তাই আর দেরি না করে চটপট দেখে নিন রাতে শুতে যাওয়ার সময় কফির সঙ্গে কোন জিনিস আপনি ব্যবহার করবেন।
১) কফি এবং মধু, ভাত, ভাতের ফ্যান এর ফেস মাস্ক –
এটি বানাতে আপনার লাগবে এক টেবিল চামচ কফি পাউডার এবং এক টেবিল চামচ মধু, ভাত, আর ফ্যান। একটি ছোট পাত্রে এই দুটি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে নিন। পেস্টটি আপনার সারা মুখে লাগান এবং চোখের চারপাশের জায়গা বাদে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। এখন মাস্কটি 20 মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন। ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। একটি কফি এবং মধুর মুখের মাস্ক ব্যবহার করলে আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য এবং বলিরেখা, শুষ্কতা এবং কালো দাগের মতো বার্ধক্যে কমাতে সাহায্য করে এই মাস্ক।
২) কফি এবং দুধ, ভাত, ভাতের ফ্যান এর মাস্ক –
এক টেবিল চামচ কফির সাথে এক-দুই টেবিল চামচ দুধ নিন, ভাত আর ফ্যান নিন। একটি পেস্ট তৈরি করে আপনার মুখে লাগান। এটি আপনার মুখে 10-15 মিনিটের জন্য হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি টোনড ত্বক চান, তাহলে কফি এবং দুধ, ভাত ফেস মাস্ক প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।
৩) কফি এবং লেবু, ভাত, ভাতের ফ্যান এর ফেস মাস্ক –
একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ কফি পাউডারের সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস, ভাত মিশিয়ে নিন। একটি পেস্ট তৈরি করতে এটি ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে এবং এটি আপনার মুখ এবং ঘাড়ে সমানভাবে এবং আলতোভাবে প্রয়োগ করুন। এটি 15 মিনিটের জন্য শুকিয়ে দিন এবং তারপরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কফির সাথে লেবু ট্যান দূর করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।