রসগোল্লার পাশাপাশি স্বাদে ও গন্ধে জগদ্বিখ্যাত জলভরা মিষ্টি, এর তৈরির পিছনেও লুকিয়ে মিষ্টি গল্প
হুগলি জেলার ভদ্রেশ্বর চন্দননগরের মাঝে জিটি রোডে ঠিক আছে আজও রমরমিয়ে চলছে। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো সূর্য মোদক এর দোকান। এই দোকানের উল্লেখযোগ্য মিষ্টি হল জলভরা।
শোনা যায়, জামাইকে ঠকানোর জন্য এই মিষ্টি তৈরি করা হয়েছিল। তেলেনিপাড়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের গিন্নিমা সর্বপ্রথম জামাই ঠকানোর জন্য এই মিষ্টি তৈরি করার কথা বলেন। তার আবদারেই মিষ্টি ব্যবসায় সূর্য মোদক এর ডাক পড়েছিল।
অবশেষে তিনি সারারাত মাথা খাটিয়ে তৈরি করেন জলভরা সন্দেশ। প্রথমে ছানাকে কড়া পাকে জাল দিয়ে তৈরি করতে হয় সন্দেশ। তারপর ছাঁচের মধ্যে ফেলে মাঝখানে আঙুল দিয়ে ফুটো করে গোলাপজল পুরে দিয়ে তারপরে আবার সেই ফুটো সন্দেশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এই গোলাপজল আজও কনৌজ থেকে আনা হয়। গরমকালে গোলাপ জল দেওয়া হয় শীতকালে এখানে দেওয়া হয় নলেন গুড়। মিষ্টিতে কামড় পড়তে জামাই বাবাজির জামাকাপড় ভিজে যায় গোলাপজলে। এইভাবেই মিষ্টি খাইয়ে জামাই বাবাজি কে জব্দ করা হয়েছিল।
মিষ্টিতে কামড় দিতে জামাইয়ের জামাকাপড় যখন গোলাপ জলে ভিজে যায় সেই দেখে অন্দরমহলে হাসির রোল ওঠে। আর সেই দেখে সূর্য মোদক অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। মিষ্টি তৈরি করে তিনি যে জামাই জব্দ করতে পেরেছেন এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিন্ত হন। মিষ্টির দাম ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা। এত টাকা দাম হলেও এই মিষ্টি বিক্রি কিন্তু এতটুকু কমেনি।