টলিপাড়ায় সর্বসাধারণের আগ্রহের কেন্দ্রে এখন একটিই নাম, কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mallick)। আর হবে নাই বা কেন, আপাত আড়ম্বরহীন একটি মানুষ যখন হঠাৎ করেই একের পর এক কাণ্ড ঘটিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন, তখন কৌতূহল হয় বইকি। টলিউড ইন্ডাস্ট্রির বহু পুরনো সদস্য কাঞ্চন মল্লিক। সংগ্রাম করে দাঁড়িয়েছেন নিজের পায়ে। শারীরিক বৈশিষ্ট্যের জন্য ট্রোল হলেও সেটাকেই নিজের শক্তি বানিয়ে তুলেছিলেন তিনি। সেই কাঞ্চন মল্লিকই প্রায় এক মাসের ব্যবধানে একটি বিয়ে থেকে বেরিয়ে আরেকটি বিয়ে করে নিলে, তাও আবার নিজের প্রায় হাঁটুর বয়সী মেয়েকে, আশ্চর্য তো লাগবেই!
এই নিয়ে তৃতীয় বিয়ে করলেন কাঞ্চন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর গত ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ডিভোর্স পেয়েছেন তিনি। তার প্রায় ৩৪ দিনের মাথায় ১৪ ফেব্রুয়ারি আইনি বিয়ে সেরেছেন বছর ২৬ এর শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে। পিঙ্কির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর ৫৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন কাঞ্চন। একথা পিঙ্কি নিজের মুখেই জানিয়েছেন। অন্যদিকে শ্রীময়ী জানিয়েছেন, অভিনেতা বিধায়ক নাকি তাঁকে শাড়ি, হীরে প্ল্যাটিনামের আংটি দিয়ে সারপ্রাইজ দিয়েছেন। আগামী ৬ মার্চ তাঁদের সামাজিক বিয়ের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। এসব কিছু দেখেশুনে আমজনতার মনে একটিই প্রশ্ন উঠছে, কত কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক কাঞ্চন?
বছর তিনেক আগে অভিনেতার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরপাড়ার বিধায়কও হয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। বিধানসভা নির্বাচনের সময় হলফনামায় নিজের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সেখানে জানিয়েছিলেন, স্থাবর অস্থাবর মিলিয়ে ৯০ লক্ষ টাকারও বেশি সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, কাঞ্চনের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা। সে সময় তাঁর হাতে নগদ টাকা ছিল ২৬,৬৪২ টাকা। দুটি ফিক্সড ডিপোজিটে মোট অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমাণ প্রায় ৭ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। পাশাপাশি একটি জীবনবিমা পলিসিও রয়েছে তাঁর, যার মূল্য ৬ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা।
সে সময়ে প্রায় ১ লক্ষ টাকার দেনা ছিল কাঞ্চনের। ২০১৫ সালের কেনা একটি টয়োটা ইনোভা গাড়ি রয়েছে তাঁর। সেই গাড়ির বাজারদর ছিল প্রায় ১৬ লক্ষ টাকারও বেশি। এছাড়া ১৬ গ্রাম ওজনের একটি সোনার আংটি রয়েছে তাঁর যার দাম প্রায় ৮০ হাজার টাকা। টিডিএস বাবদ ২ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকাও রয়েছে তাঁর। অন্যদিকে কাঞ্চনের স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা। নাকতলায় একটি ৯১৩ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর, ২০২১ সালে যেটির বাজারদর ছিল প্রায় ৫২ লক্ষ টাকারও বেশি। এছাড়া আর কোনো জমিজমা নেই কাঞ্চনের। এছাড়াও ইলেকশন কমিশনের নথি থেকে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ৫ লক্ষ টাকা আয় করেছিলেন তিনি। ২০১৬-১৭ তে ১৫ লক্ষ টাকারও বেশি আয় করেছিলেন তিনি। আর ২০১৫-১৬ তে কাঞ্চন আয় করেছিলেন প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা।
View this post on Instagram