Hoop Life

ভুলেও দোকান থেকে নকল মোয়া কিনবেন না, জেনে নিন আসল জয়নগরের মোয়া চেনার উপায়

বাংলার প্রাচীনতম মিষ্টির মধ্যে অন্যতম হল জয়নগরের মোয়া। এই মোয়ার আবিষ্কারক হলেন জয়নগর শহরের নিকটবর্তী বহরু গ্রামের জনৈক যামিনীবুড়ো। লোকমুখে শোনা যায়, একটি অনুষ্ঠানে তিনি নিজের খেতে উৎপাদিত কনকচূড় ধানের খই ও নলেন গুড় দিয়ে মোয়া প্রস্তুত করে একটি স্থানীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পরিবেশন করেন। সেই অনুষ্ঠানে নাকি এসেছিলেন যুগাবতার শ্রীচৈতন্যদেব। তিনিও নাকি সেই মোয়া খেয়ে খুব তৃপ্তি পেয়েছিলেন। আর সেই সময় থেকেই এই মোয়া জয়নগর শহরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে গোটা বাংলায়। শুরু হয় ব্যবসাও।

ইতিহাস বলে, ১৯২৯ সালে প্রথম জয়নগর শহরে মোয়া তৈরীর কারখানা ও দোকান স্থাপিত হয়। তারপর থেকেই এই মিষ্টির সুখ্যাতি বেড়ে যায় গোটা রাজ্য এমনকি গোটা দেশে। ২০১৫ সালেই জিআই বা ‘জিয়োগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন’ তকমা আদায় করে নেয় জয়নগরের মোয়া। কিন্তু তাতেও এই মোয়ার জাল তৈরি বন্ধ হয়নি। সেই কারণেই বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার এই প্রাচীন মিষ্টি। তার কারণ রয়েছে অনেক। জনপ্রিয়তা থাকলেও সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণেই হারিয়ে যেতে বসেছে জয়নগরের এই সুখ্যাতি। প্রসঙ্গত, মোয়া তৈরির ক্ষেত্রে অন্যতম মূল উপাদান হল নলেন গুড়।

কিন্তু কিভাবে চিনবেন কোন মোয়া আসল নাকি নকল। বাজার থেকে কিনে আনার সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই কিন্তু আপনি ঠকবেন না মোয়া কিনতে গিয়ে। দেখে নিন কোন কোন দিকগুলি বিবেচনা করে মোয়া কিনতে হবে।

● উপাদান: জয়নগরের মোয়া চেনার আসল ট্রিক হল ওই মোয়ার মধ্যে থাকা উপকরণের বিন্যাস। উপকরণ ঠিকঠাক থাকলে তবেই সেই মোয়া কিনুন।উচ্চমানের ধানের সুগন্ধি খই, নলেনগুড়, কাজু, কিসমিস, খোয়া ক্ষীর, ঘি এইসব উপকরণ দেখে তবেই কিনুন সেই মোয়া। নাহলে কিন্তু ঠকে যাবেন অনায়াসে।

● গন্ধ: জয়নগরের মোয়া চেনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এই মোয়ার গন্ধ। ব্যবসায়ীরা বলেন, মোয়ার গন্ধেই কিন্তু আপনি আন্দাজ পেয়ে যাবেন সেটি আসল, নাকি নকল। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বলেন গুড় ও ঘিয়ের গন্ধ যাচাই করে কিনতে হবে।

● প্যাকেটে থাকা তথ্য: জয়নগরের মোয়া কেনার আগে মোয়ার প্যাকেটে উল্লিখিত তথ্য যাচাই ককরে নিতে হবে। এখতরে অথরাইসড ইউ জার নম্বর, আর মোয়া কোথায় তৈরি হয়েছে, তার এক্সপায়ারী তারিখ দেখে নিন। এছাড়াও আসল মোয়ার প্যাকেটে যে বারকোড থাকবে তার স্ক্যান করলেই মিলবে সব তথ্য।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি জনস্বার্থে লেখা হয়েছে। কোনো ব্যবসাকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়া আমাদের অভিপ্রায় নয়।

Related Articles