Husband Manipulation: স্বামীদের ‘হাতের পুতুল’ বানানোর কায়দা শেখাচ্ছেন এই শিক্ষিকা

স্বামী কিছুতেই হাতের মুঠোয় আসছে না? বলছেন ডান দিকে যেতে, যাচ্ছে বা দিকে? আনতে বলছেন আলু, আনছেন পটল? আচ্ছা, স্বামী কি পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত? বা অন্য কোনো মহিলার প্রতি আকৃষ্ট? এর জন্য দায়ী কি আপনি নন? এই প্রসঙ্গে এক স্বঘোষিত ‘জীবনশৈলী শিক্ষিকা’ শেখাচ্ছেন কিভাবে মেয়েদের নারীত্বের বিকাশ ঘটাতে হয়, আর কিভাবে স্বামীদের ‘হাতের পুতুল’ বানানো যায়। চলুন জানি স্ববিস্তারে।

কে এই শিক্ষিকা? এনার বাসস্থান অস্ট্রেলিয়ার সিডনি। নাম – মার্গারিটা নাজারেঙ্কো। ইনি হলেন একজন স্বঘোষিত ‘জীবনশৈলী শিক্ষিকা’। স্বঘোষিত গুরু কথাটা অনেকবার শোনা গেলেও এই স্বঘোষিত শিক্ষক বা শিক্ষিকা কথাটা কম শোনা যায়। যাইহোক, এই মহিলা শেখান কিভাবে মেয়েদের ঘর সংসার সামলাতে হয়। এছাড়া মেয়েদের জীবন যাত্রা থেকে শুরু করে চালচলন, জীবন যাপন করার স্টাইল, সবটাই তিনি শেখান বিভিন্ন কোর্স, ইনস্টাগ্রাম ও নিজস্ব ব্লগের মাধ্যমে।

এই স্বঘোষিত ‘জীবনশৈলী শিক্ষিকা’র থেকে কি কি উপকার পেতে পারেন?

শিক্ষিকা মার্গারিটা নাজারেঙ্কোর দাবি এই যে তিনি পারেন মেয়েদের মধ্যে নারীত্বের বিকাশ ঘটাতে। এই ব্যাপারে, তার বক্তব্য হল নারীরা সাধারণত তিন প্রকারের হয়। এবং, এই তিন প্রকার নারী বোঝাতে তিনি তিনটি প্রাণীর উদাহরণ টেনেছেন। যেমন – প্রথম প্রাণীটি হল হরিণ, এটি চঞ্চল নারীচরিত্রের প্রতীক। দ্বিতীয় প্রাণী গাভী, যা ঘরোয়া কাজকর্ম করতে পছন্দ করা নারীর প্রতীক। আর তৃতীয় প্রাণীটি হল ঘোটকী। যে নারীরা অত্যন্ত কর্মঠ, তাঁদের প্রতীক হল এই ঘোটকী। প্রসঙ্গত, মার্গারিটা
নিজেকে একজন ঘোটকী হিসেবে মনে করেন।

পুরুষদের কি সত্যি নিয়ন্ত্রণ করা যায়?

মার্গারিটা নাজারেঙ্কোর মতে, একজন নারী পারে একজন পুরুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে। উদাহরণ হিসাবে নিজের স্বামীর কথা প্রকাশ করেন তিনি। তার স্বামী পেশায় একজন চিকিৎসক, এবং, তিনি তার স্বামীকে আমেরিকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন, এতে তার উন্নতি হয় কর্মজীবনে। এই শিক্ষিকার দাবি, স্বামীদের ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে দেওয়া উচিত, তাহলেই স্বামীকে বশে রাখা সম্ভব। এই বিষয়ে আরো বিশদে জানার জন্য তাদের নিয়মিত মার্গারিটার ব্লগ দেখা উচিত।