মুখ্যমন্ত্রী মেয়েদের জন্য অনেক কিছু করেছেন, হাঁসখালি কান্ডে মুখ খুললেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়
হাঁসখালিতে এত বড় ধর্ষণ কাণ্ড ঘটে গেল অথচ রাজ্যের মহিলা কমিশন একবার সেখানে গিয়ে পৌঁছলো না। এই বিষয়ে রাজ্যের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন তথা বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায় কি বলছেন? তিনি এই বিষয়ে অবগত যে সিবিআইকে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। তার মতে সিবিআই-তদন্ত করলে মহিলা কমিশনের যাওয়া নিয়ে সেখানে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। তিনি জানান যে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা যদি তৈরি না হয়, তা হলে তারা নিশ্চয়ই আজ বা আগামীকালের মধ্যে চলে যাবেন।
একটি প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাঁসখালির ঘটনাটি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে গোটা বাংলা জুড়ে আলোচনা ঢেউ দেখা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের এই বিষয়ে কি মতামত? মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের দায় আমার নয়। তার মতে মুখ্যমন্ত্রী তার মত করে তার কথা বলেছেন। মানুষ অনেক সময় অনেকরকম ভাবে কথা বলেন। কিন্তু মানুষটি সমাজের জন্য কী কী কাজ করেন, সেই আলোকেও দেখা উচিত বলে মনে হয় তার। তিনি দেখেছেন, মহিলাদের ক্ষেত্রে, কিংবা মেয়েদের ক্ষেত্রে উনি কিন্তু সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করেন। মেয়ের ক্ষমতায়নের জন্যই তিনি কন্যাশ্রী, লক্ষীর ভান্ডারের মত প্রকল্প এনেছেন। তাঁর মন্তব্যকে প্রতিহত করতে গিয়ে বার বারই এই কথাও তার মনে হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে তিনি একজন মহিলা হিসেবে সমর্থন করছেন না। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি বলতে চান মানুষটি মেয়েদের জন্য অনেক কাজ করেছেন। মেয়েরা আজ সাইকেল চালিয়ে স্কুলে পড়তে যাচ্ছে। এসব মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন বলেই হয়েছে।
একই সঙ্গে তিনি হাঁসখালির লজ্জাজনক নৃশংস ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। একজন মহিলা তথা রাজ্যের মহিলা সুরক্ষা কমিটির শীর্ষে আসীন হয়ে এই বিষয়ে তিনি কোনো আপোষ করতে চান না।
হাঁসখালির ঘটনার সময় তিনি ভুবনেশ্বরে ছিলেন। সেখান থেকেই গোটা ঘটনার উপর নজর রেখেছেন তিনি। খোঁজ নিয়েছেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। তিনি খুব শীঘ্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছাচ্ছেন। হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণ-কাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি চান লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তার মতে হাঁসখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা কেবল দুঃখজনকই নয়, খুবই গর্হিত বলেও কম বলা হয়। কিশোরী মেয়েটির বাড়ির কোনও সদস্যই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। রাজ্যের মহিলা কমিশনের তরফ থেকে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে হাঁসখালি ধর্ষিতার পরিবারের পাশে তিনি সবসময় আছেন এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সর্বোচ্চ সাহায্য তারা পাবেন।