নৃত্যশিল্পী উদয়শংকর ও অমলাশংকর এর একমাত্র কন্যা হলেন মমতা শঙ্কর এবং এটাই শুধু তাঁর পরিচয় নয়। যারা ‘মৃগয়া’ ও ‘আগন্তুক’ দেখেছেন তাঁদের কাছে মমতাশঙ্কর একজন পরিচিত ও দক্ষ অভিনেত্রী। সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মিয়েও তিনি একজন হয়ে ওঠেন দক্ষ অভিনেত্রী। সত্যজিৎ রায়ের হাতে তৈরি মমতাশঙ্কর ছিলেন এক অন্যতম অভিনেত্রী। সত্যজিৎ রায়কে তিনি মানিককাকু বলেই ডাকতেন। আর এই মানিককাকুর সঙ্গে ‘আগন্তুক’, ‘গণশত্রু’, এবং ‘শাখা-প্রশাখা’ তে অভিনয় করেন তিনি।
‘মাছের ঝোল’ খেতে পছন্দ করা এই মানুষটি আজ ৬০ ঊর্ধ্ব, ৬৫ তে পা রেখেছেন, কিন্তু এখনও নৃত্যের প্রতি সমান আবেগ রয়েছে। তাঁর একটি ‘মমতা শংকর ব্যালে ট্রুপ রয়েছে’। সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি নাচ নিয়েও সাধনা করেন তিনি। এমনকি মঞ্চস্থ করেছেন বহু নাটক, এই যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কৃত চণ্ডালিকা, হোরিখেলা, সীতা স্বয়ম্বরা, আজকের একলব্য, মিলাপ, শিকার, মাদার আর্থ, অমৃতস্য পুত্রা এবং শবরী।
মমতাশঙ্কের ঝুলিতে আছে বেশ কিছু বাংলা সিনেমা যেগুলি আজকের দিনে দাঁড়িয়েও সমান গুরুত্বপূর্ণ এবং সুপার হিট। সত্যজিৎ রায় ও মৃণাল সেন ছাড়াও ঋতুপর্ণ ঘোষ এর সঙ্গে কাজ করেছেন তাঁর মুভি ‘দহন’ এ। করেছেন ‘উৎসব’, বালিগঞ্জ কোর্ট, আবহমান, রঞ্জনা আমি আর আসবনা, জাতিস্মর, এবং পিঙ্ক।