বাড়িতে বসেই মাশরুম চাষ করুন, সহজেই আয় হবে ১০,০০০ টাকা
বাড়িতে বসে সহজেই চাষ করতে পারেন মাশরুম। প্রথম চাষ করা শুরু করার সময় আপনাকে ব্যয় করতে হবে ৬০০০ টাকা। মাশরুমের ১০০ টি বেড এবং বীজ নিয়ে খরচ পড়বে এই ৬০০০ টাকা। তবে একটি বেডে দুই থেকে তিনবার মাশরুম চাষ করতে পারেন। দ্বিতীয়বার থেকে মোটামুটি চার হাজার টাকা খরচ করতে হবে। ১০০ টি বেড থেকে যত পরিমাণ মাশরুম পাওয়া যাবে তা বিক্রি করলে মোটামুটি ১০ হাজার টাকা আয় হতে পারে।
লকডাউনে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অথবা নিজস্ব কাজ করার পরও যারা ভাবছেন যাদের হাতে সময় আছে উপরি আয়ের জন্য তারা অনায়াসে চাষ করতে পারেন মাশরুম।
মাশরুম মূলত এক ধরনের ছত্রাক। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু। বর্তমানে এটি বড় বড় হোটেল গুলোতেও রীতিমত নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছে।
মাশরুম চাষ করে বিক্রি করতে গেলে একটু বড় জায়গার প্রয়োজন। যদি খালি জমি থাকে তাহলে সেখানে খড় ও বিচালি দিয়ে ঘর তৈরি করে মাশরুমের জন্য উপযুক্ত ঘর তৈরি করতে পারেন। অথবা আপনার বাড়ি যদি পুরনো দিনের হয়ে থাকে তাহলে নিচের তলার কোন স্যাঁতস্যাঁতে বা কড়ি বরোগার ঘর এই মাশরুম চাষের জন্য ভীষণ উপযুক্ত।
কোনো নার্সারি থেকে মাশরুমের বীজ কিনে আনতে হবে। একটি প্যাকেটের মধ্যে খড় দিয়ে ভর্তি করে প্যাকেটের মুখ বন্ধ করে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
প্যাকেটের গায়ে ফুটো ফুটো করে। সেই প্যাকেটের ফুটোর মধ্যে দিয়ে বীজ গুলিকে ঢুকিয়ে দিতে হবে। প্রায় ৩০ মিনিট এটি জলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে হবে। প্যাকেটগুলো যখন ওপরে ঝুলিয়ে রাখতে হবে খেয়াল করতে হবে যাতে সমস্ত জল ঝরে যায়।
তিন চারদিন পর থেকে ওই ফুটো ফুটো জায়গা থেকে অংকুর বেরোনো শুরু হবে। মোটামুটি ৫,৬ দিন পর থেকেই মাশরুম খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে যায়। তবে যদি বিক্রির চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে অন্তত ৬০ দিন রেখে দেবেন। আবার বেডের মধ্যে নতুন করে বীজ বপন করবেন।
মাশরুম চাষের জন্য খড় নিয়ে আসার পর এই খড় গুলিকে আগে ফুটন্ত জলের মধ্যে দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পরে খড়গুলোকে জল থেকে তুলে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে এই মাশরুমের ওপরে যাতে কোনোভাবেই সূর্যের আলো না পড়ে। খুব বেশি গরম পড়লে ঘরের চারিদিকে বস্তা ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। গরমকালে সমানে বস্তার মধ্যে জল স্প্রে করে যেতে হবে। মোটকথা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ এই মাশরুম এর জন্য উপযুক্ত জায়গা। মাছির উপদ্রব হতে পারে তার জন্য জায়গাটি ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। খেয়াল রাখবেন যাতে মাছি বেশি না হয়।