টাকার অভাবে কষ্টে কাটছে দিন, সংসার চালাতে ঠোঙা বানাচ্ছেন বিশ্বকাপজয়ী কবাডি খেলোয়াড়
পঞ্চম শ্রেণীতে পড়তে পড়তে পড়াশোনার পাশাপাশি কবাডিকে ভালবেসে ফেলেছিলেন সুন্দরবনের রায়দিঘি এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের এক কন্যা সঙ্গীতা। পড়াশোনার পাশাপাশি ভবিষ্যতের স্বপ্ন একজন ভালো কবাডি খেলোয়াড় হওয়ার।
ছোটবেলা থেকে আর পাঁচটা বাচ্চার মতন তার জীবন যাপন নয়। পুরো পরিবার এর দায়িত্ব এসে পড়ে এই ছোট্ট কাঁধের ওপর। ছোট বয়সেই তিনি তার বাবাকে হারিয়ে ফেলেন। যার ফলে সমস্ত স্বপ্নই অধরা থেকে।
মহিলা কবাডি দলের অধিনায়ক সঙ্গীতার এখনো একটি সরকারি স্থায়ী চাকরি জোটেনি। এক সময় জাতীয় দলের সেরা পুরস্কার এর শিরোপাও তিনি পান।
আজ বড় কষ্টে দিন চলে এই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত খেলোয়াড়ের। ঠোঙ্গা বানিয়ে জীবন-যাপন করতে হয় তাকে। সোনারপুরে আমন্ত্রিত এক সংসদের অনুষ্ঠানে কাবাডি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার নিতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি সঙ্গীতা। শুধুমাত্র দেশেই নয়, নেপালে আন্তর্জাতিক খেলায় দেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছিলেন তিনি।